প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের মুখে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে। এক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অপর রাজনৈতিক দল কখনও সন্ত্রাস, আবার কখনও বা প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন। আর টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের বাধার মুখে পড়লেন। অভিযোগ, ভবানীপুরে এদিন প্রচার করতে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। যেখানে ভবানীপুরে নামার সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সদস্যরা তাঁকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন। আর এই গোটা ঘটনায় নেতৃত্ব দেন যুব তৃনমূলের সম্পাদক ওয়াসিম আহমেদ। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। আর এরপরই গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।

বলা বাহুল্য, ভবানীপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের পাড়া। এদিন সেখানে প্রচার করতে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আর সেখানেই তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের একাংশ। যার ফলে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আর এবার এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট তলব করায় তৃণমূল কংগ্রেস যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে এই ঘটনাকে তৃণমূলের মধ্যে সৌজন্যতর ছিটেফোটাও নেই বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। পাশাপাশি গুন্ডামি এবং গন্ডগোল পাকানোই তৃণমূলের আসল চরিত্র বলে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভবানীপুরের মত জায়গায় বাবুল সুপ্রিয়কে প্রচারে বাধা দেওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। ভবানীপুর এলাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের পাড়া। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় বিরোধীদলের নেতা প্রচার করতে আসার সময় যেভাবে তৃণমূলের বাধা পেলেন, তাতে কমিশনের রিপোর্ট তলবে শাসক শিবির যে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনার মুখে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।