মমতার স্বাস্থ্যসাথী এবার বাংলা ছাড়িয়ে পা রাখলো অন্য রাজ্যেও ! শোরগোল রাজ্যে! জাতীয় রাজ্য June 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সচেষ্ট হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল স্থাপন করে রীতিমত নজির গড়েন তিনি। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় অনেককে নিয়ে আসেন। যা নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দ্বন্দ্ব অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে চলে আসে। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প কেন রাজ্য গ্রহণ করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই দাবি করা হয়, বাংলা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ওপর নির্ভর করেই চলবে। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় চলে এল ভেলোরের সিএমসি এবং দিল্লির এইমস হাসপাতাল। স্বাভাবিকভাবেই ভিন রাজ্যের দুই হাসপাতাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় চলে আসায় বাংলা থেকে যারা বাইরে এই হাসপাতালে চিকিৎসা করতে যাবেন, তারা অনেকটাই সুবিধা পাবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লকডাউনের সময় এই ভেলোরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বহু মানুষ আটকে পড়ে ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের ট্রেনে করে ফেরানো হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু এবার বাইরে দিল্লির এইমস এবং ভেলোরের সিএমসি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় চলে আসায় বাইরে গিয়ে যদি কোনো মানুষ বিপদে পড়েন, তাহলে তাদের চিকিৎসার জন্য আর কোনো চিন্তা করতে হবে না বলেই জানাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিন এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আমরা আরও দুটি হাসপাতালকে যোগ করছি। সেখানেও একই রকমভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হোল্ডাররা সুযোগ পাবেন। একটি হল ভেলোরের সিএমসি এবং অন্যটি হল দিল্লির এইমস।” এদিকে এতদিন বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষার জন্য সাড়ে চার হাজার টাকা লাগলেও, এবার থেকে নমুনা টেস্টের জন্য মোটেই 2 হাজার 250 টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষার খরচ যে অনেকটাই কমল, সেই ব্যাপারে বার্তা দিয়ে অনেকের মনেই স্বস্তি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত খুলে যাওয়া স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প এবার দিল্লি এবং ভেলোরের 2 হাসপাতালে লাগু হাওয়ায় রাজ্যের অনেক মানুষ বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাবেন। আপনার মতামত জানান -