মমতার ধমক খেতেই বদলাল চিত্র! রাস্তায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা! সকাল থেকেই শুরু হল দৌড়োদৌড়ি! তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য August 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূলে যেমন শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তেমনই রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা হিসেবে তিনিই শেষ কথা বলেন। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেলে তা তড়িঘড়ি যাতে বাস্তবায়িত করা যায়, তার জন্য ময়দানে নেমে পড়েন। সম্প্রতি বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনার কাজ নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার পারফরম্যান্স সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমতো ধমক দিয়ে কেন কাজ ঠিকমত হচ্ছে না, তার ব্যাপারে জানতে চান তিনি। আর প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমক খাওয়ার পরে 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ময়দানে নেমে পড়লেন দলের জনপ্রতিনিধিরা। জানা গেছে, এই কাজের জন্য সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই কাজ কতদূর এগোলো, তার ব্যাপারে খবর নেবেন তিনি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধমক দেওয়ার পরই জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি থেকে শুরু করে বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সকলেই ছুটোছুটি করতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, বুধবার জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি দেবু টুডু সড়ক যোজনার ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। কোথায় কিভাবে কাজ আটকে রয়েছে, তার ব্যাপারে আলোচনা করেন। আর তারপরই ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে করে রায়না এবং জামালপুর এলাকা পরিদর্শন করতে দেখা যায় দেবুবাবুকে। যেখানে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ার পর যদি কাজ না হয়, তাহলে যে তাদের ওপর খাঁড়ার ঘা নেমে আসতে পারে, তা উপলব্ধি করেছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমকের মুখে যাতে পুনর্বার পড়তে না হয়, তার জন্য এবার তড়িঘড়ি ময়দানে নেমে কাজ শেষ করতে উদ্যোগী হলেন তারা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তিনি রাস্তার কাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তাই সরজমিনে গিয়ে কাজ দেখছি। আমি নিজে প্রতিটি জায়গায় যাব। কোনো সমস্যা থাকলে দ্রুত মেটানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী 7 দিন পর আবার রাস্তার কাজে রিপোর্ট দেবেন বলেছেন। তাই সাত দিনের মধ্যে আমরা কাজে গতি আনার চেষ্টা করছি।” সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধমক দেওয়ার পর রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য তৃণমূল নেতারা যেভাবে ময়দানে নেমেছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন সকলে। তবে সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন এই কাজ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -