এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মারামারিতে মাথা ফাটল তৃণমূল নেতার! ঝুলন্ত দেহ আরেক নেতার! মমতা যেতেই তীব্র অশান্তি জেলায়

মারামারিতে মাথা ফাটল তৃণমূল নেতার! ঝুলন্ত দেহ আরেক নেতার! মমতা যেতেই তীব্র অশান্তি জেলায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মেদিনীপুরের কেশপুর অঞ্চল বরাবরই রাজনৈতিক মানচিত্রে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেশপুর নিয়ে আলাদাভাবে নজর দেওয়ার কথা বলে এসেছিলেন প্রশাসনিক বৈঠকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর একদিন পেরোতে না পেরোতেই নতুন করে অশান্তি শুরু কেশপুরে। একদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অন্যদিকে তৃণমূল নেতার মৃতদেহ উদ্ধার- সব নিয়ে কেশপুরের রাজনৈতিক মহল চূড়ান্ত উত্তেজিত।

মঙ্গলবার খড়্গপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন এলাকা দেখভালের জন্য। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেশপুরে আবারও অশান্তি শুরু হল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই তৃণমূল নেত্রী বারবার তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি যে এখনও শোধরায়নি, কেশপুরের ঘটনা তা আবারও প্রমাণ করলো।

সম্প্রতি কেশপুরের বিকলচক এলাকায় বুধবার রাতে তৃণমূলের একটি সভা হয়। যে সভা থেকেই শুরু হয় গন্ডগোল বলে জানা গেছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের সভায় প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের অনুগামী শেখ নাসিম আলিকে দলীয় কাজকর্মে আরো বেশি করে যুক্ত থাকার কথা বলা হয়। এই নিয়েই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। সভার মধ্যেই নাসিমকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এই সভা ডেকেছিল বর্তমান ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠীর অনুগামীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শেখ নাসিম আলিকে প্রথমে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরিস্থিতি সঙ্গীন দেখে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। তবে গুরুতর জখম অবস্থায় গভীর রাতে নাসিমকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী এই ঘটনার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। কিন্তু কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, প্রশাসনিক বৈঠকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে তিনি খুব শীঘ্রই কেশপুরে যাবেন।

অন্যদিকে কেশপুরের আনন্দপুর থানার শীর্ষা পঞ্চায়েতের বহরা গ্রামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী ভোম্বল মিদ্যার মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ির সামনের শ্যালো পাম্পের ঘর থেকে। ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায় বলে জানা গেছে ‌। অন্যদিকে এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা শ্যামল আচার্য এই ঘটনায় বিজেপির জড়িত থাকার ইঙ্গিত করেছেন। যদিও তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করার পরেও পুলিশের কাছে এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ জমা পড়েনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু খুন না আত্মহত্যা – তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলার বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে অশান্তি শুরু হচ্ছে। সেরকমই একটি জায়গা হল মেদিনীপুরের কেশপুর। তৃণমূল নেত্রী জেলার প্রশাসনিক বৈঠক সেরে যাবার পরেই যেভাবে অশান্তি শুরু হল সেখানে তা নিয়ে কিন্তু রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, এলাকার বিধায়কের কার্যক্ষমতা নিয়ে। আপাতত কেশপুরের উত্তেজনা প্রশমিত করতে শাসক দলের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে দিকেই নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!