পৌরসভা দখল করতে তরুণ ব্রিগেডকে ময়দানে নামাচ্ছে তৃনমূল, জল্পনা তুঙ্গে! উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য February 16, 2020 2011 সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন হতে শুরু করে। রাজ্যের প্রায় শক্তিশালী বাম গড়গুলোতে ঘাসফুল ফোটাতে দিতে সক্ষম হয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। তবে সারা রাজ্যে হাওয়া বদল হতে থাকলেও, শিলিগুড়ি শহরে তার কোনোরুপ প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার যেনতেন প্রকারেণ সেই শিলিগুড়ি পৌরসভা বামেদের থেকে নিজেদের দখলে আনতে ধনুক ভাঙা পণ করে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই দিদিকে বলো কর্মসূচি সহ একাধিক ব্যাপারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করে ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে এত কিছু করেও থেমে থাকতে চায় না তৃণমূল। তাই তো এবার পৌরসভা ভোটের মুখে শিলিগুড়িতে দলের জনসংযোগ আরও নিবিড় করতে দলের তরুণ ব্রিগেডকে ময়দানে নামাচ্ছে জেলা নেতৃত্ব। জানা গেছে, এবার শিলিগুড়ি পৌরসভার 47 টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের যুবক-যুবতীরা পৌঁছে যাবেন। আর সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে নানা প্রশ্ন করবেন তারা। আর তার উত্তর লিপিবদ্ধ করে দলের কাছে জমা দিয়ে সাধারণ মানুষের তৃণমূল সম্পর্কে কি মনোভাব, তা বুঝে নেওয়া যাবে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। আর সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের জন্য প্রায় 700 জন যুবক যুবতীকে বাছাই করা হয়েছে বলে খবর। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী তথা উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির তৃণমূলের চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, “প্রায় এক বছর আগে বেসরকারি সংস্থা দিয়ে শহরে একটি সমীক্ষা করানো হয়। সেই সমীক্ষা-রিপোর্ট সামনে রেখে এবার পৌরসভা ভোটের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করা হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এজন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। শহরের 47 টি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি যাবেন আমাদের যুবক-যুবতীরা। তারা সাধারন মানুষদের কাছে প্রশ্ন করবেন। আর সেসব প্রশ্নের উত্তর লিপিবদ্ধ করে আমাদের কাছে দেবেন। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা সেই অভাব অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি করব। আগামী মাস থেকেই এই অভিযান শুরু হবে।” আর শিলিগুড়ি পৌরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের এই উদ্যোগ যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। অনেকে বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে তৃণমূলের অনেক নেতার দুর্নীতি-স্বজনপোষন বিষয়ে মানুষ ক্ষোভ উগরে দিয়ে ভোটবাক্সে তার জবাব দিয়েছে। যার ফলে অনেক কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এবার মানুষের সেই অভিযোগকে আর ভোটবাক্সে ফেলতে দিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তো এখন থেকেই দলের তরুণ ব্রিগেডকে ময়দানে নামিয়ে সাধারন মানুষের অভাব, অভিযোগ শুনে তা তড়িঘড়ি সমাধান করে জোড়াফুলের বাড়বাড়ন্ত দেখতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা। সেই কারণেই তাদের এই উদ্যোগ বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও, তা কতটা তাদেরকে স্বস্তি দেয় এবং সিপিএমকে কতটা বিপাকে ফেলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -