এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > অর্পিতা ঘোষ ও জেলা সভাপতির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, দক্ষিণ দিনাজপুর নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত!

অর্পিতা ঘোষ ও জেলা সভাপতির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, দক্ষিণ দিনাজপুর নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। যেখানে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে জেলা সভাপতি করে অর্পিতা ঘোষকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বভাবতই কলকাতা থেকে আগত অর্পিতা ঘোষ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দায়িত্ব পাওয়ার পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় থাকলেও, তিনি জেলা সভানেত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার পর জেলা থেকে কলকাতায় চলে গিয়েছিলেন। তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্য কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই রবিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রবেশ করেন জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ। যার ফলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ করে কেন আবার জেলার মাটিতে পা রাখলেন অর্পিতা দেবী?

অনেকেই বলতে শুরু করেন, গৌতম দাসকে সরিয়ে আবার নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে অর্পিতা ঘোষকে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে জেলায় পাঠিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। তবে প্রাক্তন জেলা সভানেত্রী জেলায় ফেরার সাথে সাথেই তার ব্যাপারে মুখ খুললেন বর্তমান জেলা সভাপতি গৌতম দাস। যার ফলে অর্পিতা ঘোষ এবং গৌতম দাসের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন হঠাৎ করেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পা রাখলেন অর্পিতাদেবী? জানা গেছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসলেও এখনও পর্যন্ত অর্পিতা ঘোষের সাথে বর্তমান জেলা সভাপতি গৌতম দাসের কোনোরূপ সাক্ষাৎ হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রাক্তন জেলা সভানেত্রী এবং বর্তমানে রাজ্য কমিটির অন্যতম মুখ অর্পিতা ঘোষ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসলেন কেন তার সঙ্গে দেখা করলেন না গৌতম দাস, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।

এদিন এই প্রসঙ্গে অর্পিতা ঘোষ বলেন, “জেলার বহু নেতার সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাদেরকে নিয়ে বৈঠক করেছি। বেশ কিছু দলীয় অফিসে বৈঠক করব। রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আমাকে পাঠানো হয়েছে। জেলার কি অবস্থা, তা দেখে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট জমা দেব। জেলা সভাপতি ব্যস্ত রয়েছেন বলে শুনেছি। তাই তার সঙ্গে দেখা করছি না। মঙ্গলবার সরকারি বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠক করে কলকাতায় চলে যাব।” তবে অর্পিতা ঘোষের এইভাবে জেলায় আসার খবরের বিন্দুবিসর্গ জানেন না বর্তমান জেলা সভাপতি গৌতম দাস। তিনি বলেন, “অর্পিতা ঘোষ দীর্ঘদিন জেলায় ছিলেন। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। পাশাপাশি রাজ্য কোর কমিটির সদস্য। তবে তার জেলায় আসার বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে আমার কাছে কোনো নির্দেশিকা আসেনি। আমার সঙ্গে তার দেখা হয়নি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, বিগত লোকসভা নির্বাচনে অর্পিতা ঘোষ বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হওয়ার পর সেই সময় জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকা বিপ্লব মিত্রকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে বিপ্লববাবু সদলবলে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। কিন্তু সেই বিপ্লব মিত্র কিছুদিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। আর তিনি যখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন, তখন তার প্রবল শত্রু হিসেবে পরিচিত অর্পিতা ঘোষ জেলা সভাপতির পদ থেকে সরে গিয়েছেন। দায়িত্ব পেয়েছেন গৌতম দাস। একাংশ এটাও বলেছেন যে, বিপ্লববাবু তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের সময় নাকি দলকে শর্ত দিয়েছিলেন যে, অর্পিতা ঘোষকে দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে। তাহলেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন। তাই রাজ্য নেতৃত্ব তার এই কথাকে মান্যতা দিয়ে অর্পিতা ঘোষকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল।

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নতুন জেলা কমিটি গঠনের পর আবার সেই অর্পিতা ঘোষের জেলায় আগমন কর্মী-সমর্থকদের মনে গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে। স্বভাবতই এই ঘটনার ফলে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্পিতা ঘোষের উপর আবার ভরসা রাখতে চলেছেন। তাই তাকে জেলায় পাঠিয়ে সমস্ত সাংগঠনিক রিপোর্ট নিতে চাইছেন দলনেত্রী। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এভাবে যদি আবার সেই অর্পিতা ঘোষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!