এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মোহন শর্মা থেকে যুব মাদার নয়া কমিটি নিয়ে জলঘোলা ক্রমশ অব্যাহত!

মোহন শর্মা থেকে যুব মাদার নয়া কমিটি নিয়ে জলঘোলা ক্রমশ অব্যাহত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল কংগ্রেস সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। যার কারণে বিভিন্ন জেলায় নতুন করে মাদার এবং যুবর কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু নতুন কমিটি গঠন করা সত্ত্বেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যহত। বস্তুত, সোমবার আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এই জেলা এবং ব্লক কমিটি থেকে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মার অনেক অনুগামীকে ছেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতি থেকে শুরু করে একদম পঞ্চায়েত স্তরে এই নতুন কমিটিতে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, নতুন এই কমিটিতে মোহন শর্মাকে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, মোহন শর্মার মত নেতাকে কোণঠাসা করতে কালচিনি ব্লক সভাপতি পদে অসীম মজুমদারকে সরিয়ে গণেশ মাহালিকে সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও মাদারিহাট ব্লকে সঞ্জীব দত্তকে সরিয়ে সঞ্জয় লামাকে সভাপতি করা হয়েছে। যার ফলে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। এই নতুন জেলা কমিটিতে মোহন শর্মা এবং তার অনুগামীদের যেভাবে ছেঁটে ফেলা হয়েছে, তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, জেলা নেতৃত্ব আগামী দিনে এই কমিটির ওপর নির্ভর করেই বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চাইছে। কিন্তু মোহন শর্মা এবং তার অনুগামীদের যেভাবে মূল দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল, তাতে মোহনবাবু দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বর্তমানে মোহন শর্মা অসুস্থতার কারণে শিলিগুড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ফালাকাটা ব্লকে ব্লক সভাপতি পদে সুভাষ রায়কে দায়িত্ব দেওয়ার পরেই ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয়বাবু এই ব্যাপারে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন। এদিন তিনি বলেন, “আমি দলীয় বঞ্চনার শিকার।” অন্যদিকে নতুন কমিটি ঘোষণার পরেও যেভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা হতে দেখা যাচ্ছে, তাতে কি দল অস্বস্তিতে পড়ছে না! এদিন এই প্রসঙ্গে সঞ্জয়বাবুর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “কমিটি নিয়ে সঞ্জয় দাস কেন ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, তা দেখা হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই একাংশ বলছেন, এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে ফাঁকতালে বিজেপি অনেকটাই লাভবান হয়ে যেতে পারে। বারবার রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে যেখানে নতুন কমিটির ওপর ভরসা রেখে সকলকে কাজ করার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এক নেতা যেভাবে অপর নেতাকে কোণঠাসা করার দিকে এগোচ্ছেন, তা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের কাছে বড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে বিজেপি সাতটি আসন দখল করেছিল। যর অন্যতম কারণ তৃণমূলের দলীয় অন্তর্কোন্দল। এই অন্তর্কোন্দলের ফলেই ভারতীয় জনতা পার্টি উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন তৃণমূল কংগ্রেস নতুন জেলা কমিটি গঠন করছে, তখন সেই দ্বন্দ্ব বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনো কিছু দেখতে না পাওয়ায় এবং নতুন করে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে এবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে শীর্ষ নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!