এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সম্প্রীতির অনন্য নজির রেখে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে ৫ লক্ষ টাকা দেবে ২১ টি মুসলিম সংগঠন

সম্প্রীতির অনন্য নজির রেখে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে ৫ লক্ষ টাকা দেবে ২১ টি মুসলিম সংগঠন


গত শনিবার ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দান সম্পন্ন করল সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত 2.77 একর জমিতেই রাম মন্দির হবার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট‌। অন্যদিকে, সন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ তৈরির জন্য পাঁচ একর জমি দেবার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই রায় বেরুনোর পরেই স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত হলেও আবেগ একেবারেই ধরে রেখে দিয়েছে প্রতিটি সংগঠন। তবে অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে অনেকেরই চিন্তা ছিল।

কিন্তু সবার চিন্তাকে দূর করে সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের পরেও এই দেশ সম্প্রীতির এক অন্য ছবি দেখল। অযোধ্যা মন্দির নির্মাণের নির্দেশে দেশ কিন্তু শান্তই রয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়ে দেশের 21 টি মুসলিম সংগঠন রাম মন্দির নির্মান কল্পে পাঁচ লক্ষ টাকা দান করবে বলে জানা গেছে এদিন‌।

অযোধ্যা মামলার রায় বেরোনোর প‍র উত্তর অসমের 21 টি মুসলিম সংগঠন জানান, তাঁরা মন্দির নির্মাণে পাঁচ লক্ষ টাকা দান করবেন। এমনকি অযোধ্যার মন্দির নির্মাণে মুসলিম ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা দান করা হবে। ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তটি জানিয়েছেন মুসলিম সংগঠনের জনগোষ্ঠীর সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মোমিনুল আওয়াল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, সম্প্রীতির এই ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে বলা হয়েছে, রাম জন্মভূমি হিসেবে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিটি রামলালার মন্দির গঠনের জন্য ব্যবহৃত হবে। কিন্তু, যেহেতু সেখানে নামাজ পরার প্রমান আছে আর ভারতবর্ষ সর্বধর্মে বিশ্বাসী, তাই সুন্নি বোর্ডকে আলাদা জমি দিতে হবে। তবে সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেই ট্রাস্টের তরফ থেকে পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে মসজিদ নির্মাণের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই, কিছু মুসলিম সমাজ সংগঠন এই সিদ্ধান্তে খুশি হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ভারতের শান্তি ও অখণ্ডতা রক্ষার্থে এখনও পর্যন্ত প্রতিটি কট্টর হিন্দু ও মুসলিম সংগঠন, অত্যন্ত পরিণত পদক্ষেপ নিয়েছে। আবেগের বশে, কেউ যেন অন্যকে আঘাত দিয়ে না ফেলেন, সেদিকে কড়া রেখেছে।

অযোধ্যা মামলার রায়দানের পর সাম্প্রদায়িক হিংসার চিন্তাকে জলাঞ্জলি দিয়ে সহাবস্থান ও সম্প্রীতির অনন‍্য নজির দেখা গেল এই ভারতেই। অন্যদিকে, অযোধ্যা মামলায় জয় হলেও পরিস্থিতি বিচার করে প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের প্রতিক্রিয়ায় যথেষ্ট সাবধানী। বিজেপিকে হিন্দুত্ববাদী সরকার বলে যে অপবাদ দেন বিরোধীরা, সেই অপবাদকে ধুয়ে-মুছে এই সরকার হিন্দু-মুসলিম উভয়কেই সম্প্রীতির বন্ধনে বাঁধতে পেরেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে দুটি ভিন্ন জাতি একইভাবে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা বজায় রেখে চলেছে। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!