প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন হওয়ার ফলে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ বিধানসভার অধিবেশন। এদিকে অধিবেশনে বিধায়করা ঠিকমত না আসায় তারা আদৌ তাদের ভাতা পাবেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। তবে এবার রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সমস্যা অনেকটাই মিটল। জানা গেছে, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরউদ্যোগে আগামী 9 তারিখ বর্ধিত বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন বিধায়কদের দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

যার ফলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিধানসভায় না আসা বিধায়করা বেতন না পাওয়ার জন্য যে সংকটে ভুগছিলেন, তা অনেকটাই কেটে যেতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিধানসভার বিভিন্ন কমিটির সদস্য হয়ে বিধায়করা মোট চারটি বৈঠকে অংশ নিলে সব মিলিয়ে 60000 টাকা পেয়ে থাকেন।

কিন্তু এর পাশাপাশি বিধায়করা 22 হাজার টাকা মূল বেতন হিসেবে পেয়ে থাকেন। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে বিধানসভা কক্ষ বন্ধ থাকায় সেই সমস্ত বিধায়কদের বিধানসভায় আসতে হচ্ছিল না। ফলে তাদের বেতন নিয়ে ব্যাপক সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার কোনো সমস্যায় থাকল না।

জানা যায়, গত 17 মার্চ আচমকাই বিধানসভার বাদল অধিবেশন করোনা ভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে যায়। আর তখনই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে আশ্বস্ত করেছিলেন, বিধায়করা কমিটির বৈঠকে অংশ নিতে না পারলেও তাদের ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনরূপ সমস্যা দেখা দেবে না।

কিন্তু যেখানে বিধায়করা বৈঠক করবেন না, সেখানে তাদের ভাতা বাবদ কিভাবে বিল করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। তবে এর পরবর্তী সময়কালে জুন মাসে বিধানসভার আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নেন, মার্চ মাসের শেষ 15 দিন থেকে 31 মে পর্যন্ত একদফার বিল করা হবে। আর এরপরই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে।

যার পরবর্তী সময়কালে বিধানসভা থেকে এই বিধায়কদের ভাতা বন্ধের ব্যাপারে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। যার ফলে এবার বিধায়কদের ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যায় রইল না বলে মনে করছেন সকলে। এখন লকডাউনের মুহূর্তে বিধানসভায় বৈঠকে উপস্থিত না থেকেও বিধায়করা কবে তাদের সম্পূর্ণ ভাতা পান, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।