বড়সড় বিপাকে দলবদলু বিধায়করা, অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠি, জেনে নিন কলকাতা রাজ্য July 30, 2019 বিস্তারিত আলোচনায় আসতে হলে একটু অতীতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। গত 2016 সালে দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসে। আর তারপরই বিরোধীদল বাম এবং কংগ্রেসের অনেক বিধায়কদের ভেঙে তারা তৃণমূলে যোগদান করায়। কিন্তু এক দলের প্রতীকে জিতে আর এক দলে যোগদান করে বিধায়ক থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেই বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বরা। যার ফয়সালা এখনও পর্যন্ত হয়নি। এই ব্যাপারে প্রায় 10 জন কংগ্রেস বিধায়কের দলত্যাগের বিষয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। কিন্তু তা এখনও পর্যন্ত ঝুলে রয়েছে। গাজোলের বাম বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের দলত্যাগের শুনানিও শেষ হয়নি। আর এরই মাঝে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কিছুটা খারাপ ফলাফল করায় এবং বিজেপির কিছুটা উত্থান হওয়ার পরেই রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণে বদল আসতে শুরু করে। শুভ্রাংশু রায়, বিশ্বজিৎ দাস, মনিরুল ইসলাম, সুনিল সিংহ ও উইলসন চম্প্রামারীর মত বিধায়কেরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যার জেরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই বিধায়কদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তৃণমূলের তরফে একসময় হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এবার এই পাঁচ দলত্যাগী বিধায়ককে চিঠি দিয়ে তারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কি না, তা জানতে চাইলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ঘটনা এখন রাজ্য রাজনীতিতে অনেক প্রশ্ন তুলে দিতে শুরু করেছে। কেননা এক সময় এই তৃণমূল বিরোধী দল বাম এবং কংগ্রেসের অনেক বিধায়কদের ভাঙিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু সেই সময় বাম এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বরা এই ব্যাপারে স্পিকারকে চিঠি দিলেও সেই জন্য স্পিকার কোনরূপ পদক্ষেপ নেননি। কিন্তু এবার তৃণমূল বিপাকে পড়তেই কেন সেই সমস্ত দলত্যাগী বিধায়কদের চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে! তাহলে বাম এবং কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম পালন করা হবে না কেন! তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, “ওই পাঁচজনের বিধায়ক পদ খারিজ করলে তৃণমূলের যাওয়া অনেকের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” সব মিলিয়ে বিজেপির বিপদ থেকে বাঁচতে স্পিকারের চিঠি দিয়ে দলবদলকারীদের চাপে রাখতে চাইলেও পাল্টা বাম, কংগ্রেসের কৌশলে প্রবল চাপে রাজ্যের শাসক দল। আপনার মতামত জানান -