এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিদি-মোদী বিরোধী ফুলে বিপর্যয় সামলাতে এবার মাঠে নামলেন বিজেপি ও তৃণমূল নেতা!

দিদি-মোদী বিরোধী ফুলে বিপর্যয় সামলাতে এবার মাঠে নামলেন বিজেপি ও তৃণমূল নেতা!


দুর্যোগের সময় অন্তত রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রাখার বার্তা দিচ্ছেন সকলে। তবে তা সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা নেত্রীদের মধ্যে তরজা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে নীচুতলায় শাসক থেকে বিরোধী, সকলকেই ভয়াবহ দূর্যোগ আটকাতে মানুষের পাশে থাকতে দেখা যাচ্ছে। হাত মিলিয়ে মানুষের অসুবিধা দূর করতে তৎপর হয়েছেন তারা।

যে ছবি দেখে আশাবাদী সাধারণ মানুষ। ভয়াবহ দুর্যোগের জন্য বিভিন্ন এলাকা বর্তমানে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হাওড়ার মাকড়দহ পারুইপাড়ার ছোট ষষ্ঠীতলা। বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ভয়াবহ দুর্যোগের জন্য ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে এখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। যার ফলে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারন মানুষ।

একদিকে গরম এবং অন্যদিকে ঘরের নিত্যনৈমিত্তিক কাজে বিদ্যুতের ভূমিকা অপরিহার্য হওয়ায় কীভাবে সব চলবে, তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন জনসাধারণ। আর এবার সাধারণের সেই সমস্যা মেটাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তার সমাধান করতে দেখা গেল তৃণমূল এবং বিজেপি নেতাকে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ মুখার্জি হাওড়া জেলা পরিষদের মেন্টর কল্যান ঘোষ এবং বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জির কাছে আবেদন করেছেন।

যেখানে বিশ্বজিৎবাবু সঙ্গে সাথ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির স্থানীয় নেতা উত্তম দাস। বছরভর রাজনীতির সময়ে একে অপরের বিরুদ্ধে যখন সরব হন, সেই তারাই এবার স্থানীয় মানুষদের বিপদে সমস্যা সমাধানে একসাথে উদ্যোগী হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যেই বিশ্বজিৎবাবু এবং উত্তমবাবু নেতৃত্ব দিয়ে মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। যেখানে প্রতি মুহূর্তে শাসক বনাম বিরোধীদের তরজা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেখানে তারা এক হয়ে এই কাজ কিভাবে করলেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিশ্বজিৎ মুখার্জি এবং বিজেপির উত্তম দাস বলেন, “এটা মানুষের স্বার্থ। আমরা দুই ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হতেই পারি। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের জন্য রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে এই বিপদে হাতে হাত মিলিয়ে দুর্যোগের মোকাবিলা করছেন, তেমনই আমরা তাদের পথ অনুসরণ করে হাতে হাত মিলিয়ে গ্রামের মানুষদের পাশে বিপদে ঝাপিয়ে পড়েছি‌। এখানে কোনো রাজনৈতিক রঙ নেই। মানুষের সেবাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সমস্ত গ্রামবাসী ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতা ছাড়া এই অসম্ভব কাজ কোনোমতেই এত দ্রুত সম্ভব হত না।”

 

এদিকে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ না থাকায় যেভাবে বিদ্যুৎ কর্মীদের ওপর হেনস্থার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, তাতেও এদিন সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার আর্জি জানান এই দুই তৃণমূল এবং বিজেপি নেতা। এদিন তারা বলেন, “ইলেকট্রিক কর্মীরা আমাদের মত মানুষ। তাদের ওপর যেন চড়াও না হই। সবাই যেন তাদের সহযোগিতা করেন, আমরা এই আশা রাখি। আমরা সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষী, গ্রামবাসীরা ইলেকট্রিক কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এত বাধা উপেক্ষা করে আমাদের সাথে সহযোগিতা করে আমাদের এলাকায় ইলেকট্রিক ফিরিয়ে এত তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে নিয়েছেন। যেখানে অনেক জায়গায় এখন অন্ধকারে আছে। আমরা এও কামনা করি, সব এলাকাতেই যেন ইলেকট্রিক ফিরে আসে খুব শীঘ্রই। পবিত্র ঈদ যেন খুব ভালোভাবে কাটে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ছোটষষ্ঠী তলায় এই ধরনের উদ্যোগ গোটা রাজ্যকে পথ দেখাল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী, সকলেই আহ্বান জানাচ্ছেন দুর্যোগের সময় একে অপরকে সহযোগিতা করুন, মানুষের পাশে থাকুন। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় এমনকি শীর্ষস্তরেও শাসক-বিরোধী তরজা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

তবে যেভাবে গ্রামের অসুবিধের কথা অনুধাবন করে রাজনৈতিক মতাদর্শকে দূরে রেখে এই দুই তৃণমূল এবং বিজেপি নেতা হাতে হাত বেঁধে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে দিলেন, তা সত্যিই নয়াদিগন্ত স্থাপন করল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে এই দুর্দিনে নেতা-নেত্রীরা এভাবেই সাধারণ মানুষের পাশে থাকুন বলে আবেদন করছে জনতা জনার্দন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!