প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির কথা বলতে শোনা গিয়েছিল অনেক অর্থনীতিবিদের। আর সেখানে কর্মসংস্থানের অভাব থেকে শুরু করে দেশের অর্থনীতির হাল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। অথচ মোদী সরকার কিন্তু বারবার দাবি করেছিল অতিমারির ধাক্কা সামলে ভারতের অর্থনীতির হাল দ্রুত ফিরছে।

সেক্ষেত্রে যদিও কংগ্রেস-সহ আরও কয়েকটি বিরোধী দল এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেও অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর পরিসংখ্যান সংক্রান্ত মতামত নিয়ে আরো জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেইসময় তিনি পরিসংখ্যানে দেখিয়েছিলেন যে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার তলানিতে ঠেকেছে।

কিন্তু এতকিছুর মধ্যে হঠাৎ করে উল্টোপুরান শোনাতেই দেখা গেল মুকেশ অম্বানিকে। সম্প্রতি তিনি দাবি করেছেন যে, ভারতের অর্থনীতির হাল ফিরবে। আর মোদির নির্দেশিত সংস্কারের হাত ধরেই সেই কাজ হবে বলেই তিনি জানিয়েছেন। শনিবার এক অনুষ্ঠানে শিল্পপতি তথা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানি জানান, শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদি নন, গুজরাতের মু্খ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর নানান ভাবনা-পরিকল্পনা, শিল্পোদ্যোগের কথাও।

সেইসঙ্গে তিনি জানান, পরিবেশের ক্ষতি না করে ভারতের অর্থনীতির সঙ্গে তাল রেখে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করার ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে বলেই তিনি জানিয়েছেন। আর তাই নতুন শক্তির উৎস খুঁজতেই বলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে সবুজ ও নীল হাইড্রোজেনের মতো শক্তির দিকেও নজর রাখার কথা বলেন।

তাঁর মতে, শুধু নতুন শক্তি উৎপাদন করলেই চলবে না, শক্তি সঞ্চয়ের পদ্ধতিও প্রয়োজন। আর সেক্ষেত্রে শক্তি বিপ্লব এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মধ্যে সমতা বজায় রাখতে পারলে ভারতকে বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। তবে শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক, বহুমুখী-গতিশীল নেতৃত্ব বিশ্ব মানচিত্রে এক নতুন ভারত গড়তে এবং তাঁর আত্মবিশ্বাস ও প্রত্যয় সমগ্র জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছে বলেও জানান তিনি।