এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ঘুম উড়লো বলে! লক্ষ লক্ষ টাকার ওপরে দিব্যি বসে শাহজাহান, সর্বস্ব বাজেয়াপ্ত ইডির!

ঘুম উড়লো বলে! লক্ষ লক্ষ টাকার ওপরে দিব্যি বসে শাহজাহান, সর্বস্ব বাজেয়াপ্ত ইডির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন শেখ শাহজাহান। তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা মিলে এতদিন মানুষের ওপর যে অত্যাচার করেছেন, যেভাবে মানুষের সমস্ত সম্পত্তি লুট করেছেন, তাতে এবার তাকে পাপের ফল পেতেই হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ যে তাদের ট্রিটমেন্ট দিতে পারবে না, সেটা বুঝেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর গোটা তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকেই প্রত্যেকদিন শেখ শাহাজাহানকে নিয়ে একের পর এক কুকীর্তি সামনে আসছে। এবার যে ভয়ংকর তথ্য সামনে এলো এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাতে আরাম বিরামের দিন শেষ শাহজাহান বাহিনীর। লক্ষ লক্ষ টাকার গাড়িতে বসে এতদিন যে মজা তিনি নিয়েছিলেন, এবার তার রাতের ঘুম কেড়ে নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু কি হলো! কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এমন কথা বলা হচ্ছে?

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি শাহাজাহান বাহিনীর তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। যেখানে প্রত্যেকটি গাড়ির মূল্য 20-22 লক্ষ টাকা থেকে শুরু। অর্থাৎ কোথায় এই অংকের শেষ, তা কেউ জানে না। কিন্তু যে শেখ শাহজাহান শুধু তৃণমূলের নেতা বলে পরিচিত, তার এবং তার বাহিনীর এই তিনটে বিলাসবহুল গাড়ি এল কোথা থেকে? এত টাকা তারা কোথায় পেলেন? তাই এবার এই তদন্তের রহস্য উন্মোচন করতে সেই সব গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এজেন্সির পক্ষ থেকে। কিন্তু এখানেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন নম্বর এক, এতদিন কেন রাজ্য পুলিশ এই রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি? তাহলে রাজ্য পুলিশের যে ইচ্ছে ছিল না এই ব্যাপারে তদন্ত করার এবং এই সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করার, সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর প্রশ্ন নম্বর দুই, এত টাকা শেখ শাহজাহান এবং তার বাহিনীর কাছে এলো কিভাবে? যে তৃণমূল দলের নেতা-নেত্রীরা বলেন, তারা গরিবের দল, সেখানে গরিবের নেতা হিসেবে এত বিলাসবহুল গাড়ি চড়ার ক্ষমতা দেখান কি করে শাহজাহান এবং তার বাহিনীরা,? তাহলে তো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এই এলাকার মানুষকে শোষণ এবং শাসন করে এরা কিভাবে টাকা তুলেছে এবং সেই টাকায় কিভাবে ফুর্তি করেছে! তাই অবিলম্বে এদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটা কড়া ট্রিটমেন্ট দেবে এবং তার ফলেই কোথা থেকে টাকা এসেছে এবং কিভাবে মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে, তার সব পর্দা ফাঁস হয়ে যাবে বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শাহজাহান যবে থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে পড়েছে, সেদিন থেকেই তিনি ভেঙে পড়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, এবার তার খেলা শেষ। তার পেট থেকে ঠিক মতই কথা বের করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কেননা এটা তো আর রাজ্য পুলিশ নয় যে, তাকে দুধে ভাতে রাখবে। তাই একদিকে যেমন তদন্ত চলছে, ঠিক তেমনই অন্যদিকে শাহজাহান বাহিনীরা ঠিক কত সম্পত্তি করেছে, কিভাবে মানুষের টাকা লুট করেছে, কিভাবে বিলাসবহুল গাড়ি করেছে, তার সব রহস্য উন্মোচন করার পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর এই প্রক্রিয়া যত এগিয়ে যাবে, ততই বড় মাথার নাম প্রকাশ্যে আসবে। যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে হয়ত বিরোধীরা যেটা বলছে, সেটাই বাস্তব হতে পারে। যে পরিমাণ সম্পত্তি এই শাহজাহান বাহিনীরা করেছে, তাতে ওপরতলা থেকে তাদের ওপর আশীর্বাদের হাত না থাকলে এরা মানুষের ওপর এত অত্যাচার করতে পারত না। তাই সেই হাত কার ছিল, কে মূল মাথা, সেই রহস্য উন্মোচনের পথেও হাঁটা উচিত কেন্দ্রীয় এজেন্সির। আর তাহলে এই এক সন্দেশখালিতেই জর্জরিত হয়ে মুখ লুকোনোর মত জায়গা পাবে না তৃণমূল কংগ্রেস। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!