সুখবর আসতে চলেছে মোহন জনতার কাছে? ২৯ শে জুলাই কি সব সমস্যার সমাধান? খেলা July 26, 2018 দুই পক্ষের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ঐতিহ্যবাহী মোহনবাগান ক্লাবকে বেশ কিছুদিন হল বেশ ডামাডোলের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এরজন্য সমালোচকমহলের নিন্দাও কুড়িয়েছে এ ক্লাব। দফায় দফায় উদ্বেগ কম ছিল না ক্লাব কর্তৃপক্ষদের মধ্যে। একসময় তো দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌছেছিল যে, বার্ষিক অধিবেশন সভায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চরম আকার নিল। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল পরিস্থিতি। এই আগুনে জল দিতে চাইছেন ক্লাবের সচিব অঞ্জন মিত্র। ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসের শুভ দিনটাতেই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে চান তিনি। হাত ধরতে প্রস্তুত টুটু বসুর শিবিরও। তবে এখনই ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তিনি। আমন্ত্রণে আন্তরিকতার উপস্থিতির উপরই নির্ভর করছে তাঁর সিদ্ধান্তটি। এ নিয়ে ঘোর জল্পনা রয়েছে আপাতত দলীয় অন্দরে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিন সচিব অঞ্জন মিত্র ক্লাবের টেন্টে বসে জানালেন,”আমরা প্রত্যেককেই ২৯ জুলাই-এর দিন ডাকব। যারা ক্লাবের কর্মকর্তা (পড়ুন টুটু গোষ্ঠী) ছিলেন তাঁদেরও ডাকা হবে।” এর জবাবে সহ সচিব সৃঞ্জয় বোস এবং অর্থ সচিন দেবাশিষ দত্ত সাফ কথায় জানিয়ে দিলেন পুরো বিষয়টাই নির্ভর করছে সচিবের আমন্ত্রণের উপর। আমন্ত্রণে যদি আন্তরিকতা থাকে তবে তাঁরা ভেবে দেখবেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের ব্যাপারে। হয়তো মুখে সচিব বললেন আমন্ত্রণ জানাবেন কিন্তু আমন্ত্রণ পত্র তাঁদের দোরগোড়ায় পৌছালোই না,তাহলে তাঁরা আর কী করে যাবেন! এমনভাবে মন্তব্যে কটাক্ষের সুর টানলেন তিনি। এর পাশাপাশি আরো জানান যে,মোহনবাগান একটা পরিবারেরর মতো। সেই পারিবারে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা তৈরি হওয়া উচিৎ-ই নয়,যা দেখে বাইরের লোকজন হাসে। এটা বলার পর আশ্বাস দিয়ে এটাও জানান তিনি যে,তাঁরা যেটাই করুক না কেন, মোহনবাগানের গরিমা,ঐতিহ্যের পক্ষে হানিকর এমন কোনো কাজই তাঁরা করবেন না। উল্লেখ্য,এদিন টুটু বসুর শিবিরের উদ্যোগে সকল সদস্যদের সঙ্গে বিস্তারে কিছু ইস্যু নিয়ে বৈঠক করা হয়েছিলো। ভবানীপুর টেন্টের সদস্যরা সৃঞ্জয় বোস এবং দেবাশিস দওকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন। দুজনই একই কথা জানান যে,দায়িত্ব পেলে অবিলম্বে তাঁরা আইএসএল খেলার জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার ইচ্ছে তাঁদের। এ প্রসঙ্গে দেবাশিস দত্ত জানিয়েছিলেন যে তাঁদের যদি রাত ১২ টার সময়ও নির্বাচন করতে বলেন তাতেও তাঁরা রাজি। এখন পুরো ব্যাপারটাই নির্ভর করছে স্পেশাল অফিসারদের উপর। এর পাশপাশি তিনি এটাও জানান যে প্যানেল তৈরি আছে। স্পেশাল অফিসারদের নির্দেশ পেলেই প্যানেল দাখিল করবেন তাঁরা। জানা গেছে, নির্বাচনের প্যানেলে দুই গোষ্ঠীর তরফ থেকে সম্ভাব্য চারজনের নাম রয়েছে,কিন্তু অদ্ভুতভাবে নেই দেবাশিস বাবুর নামই। জল্পনা রয়েছে সচিবের সঙ্গে মতানৈক্য বশতই সরানো হয়েছে তাঁর নাম। এ প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুর টেনে দেবাশিস বাবু জানান,”অঞ্জনদা আমাকে নিশ্চয় ভালোবাসেন। তাই হয়তো চাননি আমি প্যানেলে থাকি।” আপাতত ২৯ শে জুলাই-এর উৎসবের দিনটি মোহনবাগানিদের জন্যে সুখের হতে চলেছে না কী ফের জট পাকাতে চলেছে দলীয় কোন্দল তা তার দিকে তাকিয়ে বঙ্গের ক্রীড়া মহল। আপনার মতামত জানান -