এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মন্ত্রী না হওয়ায় দিলীপ ঘোষকে নিয়ে স্বস্তিতে বিজেপির একাংশ, জেনে নিন আসল কারণ!

মন্ত্রী না হওয়ায় দিলীপ ঘোষকে নিয়ে স্বস্তিতে বিজেপির একাংশ, জেনে নিন আসল কারণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের জল্পনা তৈরি হতেই বাংলা থেকে কাকে কাকে মন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়। সেদিক থেকে অন্যান্য সাংসদদের পাশাপাশি নাম উঠে আসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। যা কিছুটা হলেও আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দিলীপবাবুর অনুগামীদের মধ্যে। যদি দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়, তাহলে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। আর তিনি যদি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরে যান, তাহলে তার জায়গায় কে আসবে, আর তাকে ঠিকমতো মেনে নেওয়া সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে কার্যত আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করে বিজেপির একাংশের মধ্যে।

তাই এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী পদ পেলেও যাতে দিলীপ ঘোষকে সভাপতি পদ থেকে সরানো না হয়, তার জন্য নানা মহলে তদ্বির করতে শুরু করেন দিলীপবাবুর ঘনিষ্ঠরা। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের আশা বাস্তব হয়েছে। বাংলা থেকে 4 জন সাংসদ মন্ত্রী হলেও, তার মধ্যে নাম নেই দিলীপ ঘোষের। অর্থ্যাৎ মন্ত্রী হিসেবে দিলীপ ঘোষ দায়িত্ব না পাওয়াতে এখন বেজায় খুশি তার ঘনিষ্ঠরা। কেননা সংগঠনের দায়িত্ব এখন যে দিলীপ ঘোষের হাতেই থাকবে, তা আরও একবার নিশ্চিত হয়ে গেল। আর সেই কারণেই মন্ত্রীপদ না হলেও ভালো। কিন্তু দিলীপবাবু যাতে সভাপতি থাকেন, এখন সেই কথা বলে কিছুটা হলেও হাঁফ ছেড়ে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে এই দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই অভূতপূর্ব ফলাফল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। মূলত দিলীপ ঘোষ সভাপতি হওয়ার পর কিছুটা হলেও ধারে এবং ভারে রাজ্যে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে শুরু করে। তবে 2021 সালে বহু চেষ্টা করেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তারপরেই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পদে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়। সেদিক থেকে দিলীপ ঘোষের মতো নেতাকে সভাপতি পদ থেকে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন তৈরি হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপরেই হতাশা তৈরি হয় দিলীপবাবুর অনুগামীদের মধ্যে। যদি তাকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে বাংলার সংগঠন আরও ভেঙে পড়বে বলে একাংশ আশঙ্কা করতে থাকেন। অবশেষে তাদের সেই আশঙ্কাকে মান্যতা দিয়ে দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নিয়ে না গিয়ে তাকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে যে কাজে লাগাতে চায় ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব, তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল।

অনেকে বলছেন, দিলীপ ঘোষ সভাপতি হওয়ার পর কর্মীদের অনেকটাই আপন করে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একদম বুথস্তর পর্যন্ত লড়াই করবার জন্য কর্মীদের সবসময় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তিনি। তার সহজ সরল কথাবার্তা এবং ঠোঁটকাটা বক্তব্য কর্মীরা স্বাবলীল ভাবেই গ্রহণ করেছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে তার অনুগামীরা চাইছিলেন, দিলীপ ঘোষকে যেন রাজ্য সভাপতি হিসেবে সরিয়ে না দেওয়া হয়।

আর অবশেষে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের দিন রাজ্যের সংগঠনের রাশ যে দিলীপ ঘোষের হাতেই আপাতত থাকবে, তা স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যেখানে দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা না দেওয়ায় সেই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেল‌‌। অর্থাৎ মন্ত্রী হিসেবে দিলীপ ঘোষ শপথ না নেওয়াতে এখন বেজায় খুশি তার অনুগামীরা। বলা বাহুল্য, বিজেপিতে সংগঠনই শেষ কথা। আর সেই সংগঠনের প্রধান মাথা দিলীপ ঘোষ। আর সেই কারণে দিলীপবাবু তার পদে বহাল থাকায় নিশ্চিন্ত বিজেপির একশ্রেণীর নেতা, কর্মী এবং সমর্থকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!