এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মন্ত্রীদের জেলযাত্রা, বানিজ্য সম্মেলনে ভয়ে তটস্থ মমতা? সরব বিরোধীরা!

মন্ত্রীদের জেলযাত্রা, বানিজ্য সম্মেলনে ভয়ে তটস্থ মমতা? সরব বিরোধীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে হয়ত এই রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক শ্রীঘরেই করতে হবে। একের পর এক মন্ত্রী শাসকদলের নেতারা জেলে যাচ্ছেন। কেউ গরু পাচার, কেউ বা শিক্ষা নিয়োগ এবং খাদ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত। বিরোধীরা দাবি করছে, ধীরে ধীরে আসল মাথার গ্রেপ্তার হওয়ার সময় এগিয়ে আসছে। মুখে মুখ্যমন্ত্রী যে কথাই বলুন না কেন, তিনিও তার এত পরিমাণ মন্ত্রীর জেল যাত্রা দেখে কার্যত ভয়ে রয়েছেন বলেই দাবি একাংশের। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকেও এজেন্সির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গেল তাকে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে যথেষ্ট ভয় পাচ্ছেন। তিনি বুঝতে পারছেন যে, সময় শেষ হয়ে এসেছে। এজেন্সি যেভাবে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে, তাতে আগামী দিনে চরম চাপে পড়তে পারে তার সরকার। বিরোধীদের দাবি অবশ্য তেমনটাই। কিন্তু কি এমন বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?

প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে আবার অনেক বড় বড় কথা বলতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি নাকি শিল্পপতিদের গলা টিপে ধরছে। অর্থাৎ তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি বাংলায় শিল্প স্থাপনের জন্য যে সমস্ত শিল্পপতিরা এগিয়ে আসছেন, তাদেরকে হেনস্থা করছে‌, এটাই বোঝাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্ষেত্রেও একটা চরম চালাকি রয়েছে। আর সেই চালাকি হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালোমতো জানেন যে, এই রাজ্যে কোনো শিল্পপতি শিল্প স্থাপন করবেন না। এতদিনে তার সেই অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছে। তাই এজেন্সির তৎপরতার কথা বলে গোটা বিষয়টিতে কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করে নিজের বাঁচতে চাইছেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, সব ব্যাপারে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূত দেখার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি জানেন, আগামী দিনে তার দলের আরও অনেক রাঘববোয়াল জেলে যাবেন। এমনকি হাওয়াই চটিরও বিপদ ঘনিয়ে আসছে। তাই যত সময় যাচ্ছে, ততই এজেন্সির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তিনি প্রমাণ করতে চাইছেন যে, তার কোনো দোষ নেই। কেন্দ্রীয় এজেন্সিই প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করছে। কিন্তু সমস্ত রাজ্যের শিল্পপতিরা শিল্প স্থাপন করতে পারছে, শুধুমাত্র ব্যতিক্রম হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। এটা কি আদৌ মানা যায়? আসলে এখানে শিল্পের পরিবেশ নেই। তাই শিল্পপতিরা আসতে চাইছেন না। আর এই ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এজেন্সির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে মুখ রক্ষার চেষ্টা করছেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কোটি কোটি টাকাই শুধুমাত্র খরচ হলো। নামেই হলো শিল্প সম্মেলন। কিন্তু বাস্তবে সেখানে শিল্পের কি আলোচনা হল, তা একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই জানেন। শিল্প সম্মেলনের নাম করে তিনি নিজের প্রচার করে গেলেন। একজন প্রচার সর্বস্ব মুখ্যমন্ত্রী সব সময় নিজে কি করে ভালো থাকা যায়, কি করে আখের গোছানো যায়, তার চেষ্টাই করে যাচ্ছেন। রাজ্যের মানুষ বিপদে পড়লে তার কিছু যায় আসে না, এটা প্রতি পদে পদে প্রমাণিত বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। তাই এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে শিল্প আসবে না জেনে বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!