এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাংলায় নাকি চাকরির জোয়ার! বাণিজ্য সম্মেলনে ডাহা মিথ্যা মমতার! তুলোধোনা বিজেপির!

বাংলায় নাকি চাকরির জোয়ার! বাণিজ্য সম্মেলনে ডাহা মিথ্যা মমতার! তুলোধোনা বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে এত মিথ্যাচার করতে পারেন! চেয়ারে বসে থেকে তিনি কি করে দায়িত্ব নিয়ে এত মিথ্যা বলতে পারেন! সত্যিই কার হাতে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন বাংলার মানুষ! আজকে যারা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে, তারা নিজেদের আঙুল কামড়াচ্ছে। হ্যাঁ, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী যে বড় বড় দাবি করলেন, তা দেখে এমনটাই বলছে বিরোধীরা। যেখানে রাজ্যে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যারা তৃণমূলের হয়ে গলা ফাটান তারাও বলছেন যে, চাকরি নেই, রাজ্যে কর্মসংস্থান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানে শিল্প বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল এক অন্য কথা। তিনি তার সরকারের হয়ে সাফাই গাইবেন, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এত মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসী অতীতে কখনও দেখেননি বলেই দাবি একাংশের।

প্রসঙ্গত, মানুষের টাকা খরচ করে দুদিন ব্যাপী রাজ্যে ঘটা করে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করছে এই সরকার। প্রথম থেকেই সেই সম্মেলনের নিটফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তবে তার উত্তর না দিয়ে এই অপদার্থ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এদিন এক এমন দাবি করে বসেছেন, যা শুনে বিরোধীরা হাসবে নাকি কাঁদবে, কিছুই বুঝতে পারছেন না। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “এই রাজ্যে কর্মসংস্থান অনেকটাই বেড়েছে। তার কথা অনুযায়ী রাজ্যে নাকি 42 শতাংশ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দেশে এই কর্মসংস্থান কমেছে।” একাংশ বলছেন, গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ চলছে। বেকারদের চাকরি নিয়ে তৃণমূলের মধ্যেও এই বিষয় নিয়ে দাবি উঠছে। কিন্তু তারপরেও লজ্জা, ঘৃণা সমস্ত কিছু ত্যাগ করে একজন মুখ্যমন্ত্রী এত বড় মিথ্যাচার করছেন। সামান্য সহানুভূতি থাকলে যে সমস্ত বেকাররা রাস্তায় বসে রয়েছে চাকরির দাবিতে, প্রকৃত প্রাপ্য যাদের ছিল, তাদেরকে বঞ্চিত করে টাকা দিয়ে যাদেরকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে ,তা নিয়ে কথাই বলতে পারতেন না মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করে শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে তিনি যা বলেছেন, তা সকলের কাছেই দুর্ভাগ্য স্বরূপ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা করতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে এত মিথ্যা কথা বলতে পারেন? আজ পর্যন্ত ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি একজন কাউকেও চাকরি দিয়েছেন? হ্যাঁ, চাকরি তিনি দিয়েছেন। চপ শিল্প, বেগুনি শিল্প করে রাজ্যের বেকারদের কোমর ভেঙে দিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন 500 টাকার ভাতা ভর্তুকি। এসব দিয়ে সকলকে মুখ বন্ধ করে রাখতে বলেছেন। আর এভাবেই চাকরি বিক্রি করে রাজ্যের মানুষকে সর্বনাশের মুখে ঠেলে দিয়ে শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে নিজেকে মহান হিসেবে তুলে ধরছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যকে ধ্বংস করে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল। তাই সেই দলের নেত্রীর কাছ থেকে কোনো বক্তব্য সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মানুষের মিথ্যা কথা বলারও একটা লিমিট থাকে। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুকে ক্রস করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে কোটি কোটি টাকা খরচ করে তিনি এই আয়োজন করেছেন, তার একটাই কারণ, কারণ বাইরে থেকে যারা আসবেন, তারা তার প্রশংসা করবেন। আর তাতে আনন্দে ডগমগ হয়ে উঠবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মানুষের কাছে তিনি এই বার্তাটা পৌঁছে দেবেন যে, না, তাকে গোটা দেশের নামিদামি মানুষরা কতটা ভালোবাসেন। কিন্তু মুখে যাই বলুন, বাস্তবে যে এই রাজ্যে সেই সমস্ত শিল্পপতিরা বিনিয়োগ করবে না, সেটা স্পষ্ট। এটা মুখ্যমন্ত্রীও খুব ভালো মত জানেন। তাই আবার একটা চরম মিথ্যাচার করে রাজ্যের সবথেকে বড় যে জ্বলন্ত সমস্যা, বেকারদের চাকরির অভাব, তা নিয়েও ভাঁওতা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!