রাজ্যের শিক্ষকদের ‘অপমান ও বঞ্চনার’ জবাব দিতে আজ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের বৃহত্তর পদক্ষেপ – জানুন বিস্তারিত কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য December 28, 2018 শিক্ষক মহলের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে নবনিযুক্ত ও অবশিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য ন্যাশনাল ইন্সটিউট অফ ওপেন স্কুলিং-এর (এনআইওএস) যে প্রশিক্ষণের পরীক্ষা (ডিএলএড) হয়েছিল – সেই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে চরম হেনস্থার মুখে শুধুমাত্র বাংলার শিক্ষকরা। আর তার প্রতিবাদে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছিল রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। এই প্রসঙ্গে, গতকালই প্রতিবাদী শিক্ষক তথা শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের শীর্ষনেতা মইদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সর্বভারতীয় একটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও কেন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের পরীক্ষা কেন বাতিল করা হবে? কোনও সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা বাতিল করা হলে দেশজুড়েই তা বাতিল করতে হবে – এই প্রশ্ন তুলে ও দাবি জানিয়ে আজ কলকাতার এনআইওএসের রিজিওনাল অফিসে সংগঠনের তরফে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। আজ এই বিষয়ে মইদুলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফে পাঁচজনের এক প্রতিনিধিদল আজ এনআইওএসের রিজিওনাল অফিসে গিয়ে সংস্থার ডিরেক্টর রচনা ভাটিয়ার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশিই এক আলোচনায় রচনাদেবী জানিয়েছেন, ওনাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে জানা যাচ্ছে এই প্রশ্নফাঁস কান্ড শুধুমাত্র উত্তর দিনাজপুর জেলা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন সেন্টার থেকেই হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রচনাদেবীর আরও বক্তব্য, এটি সর্বভারতীয় পরীক্ষা এবং আন্তর্জাতিক স্তরেও এর একটা স্বীকৃতি আছে। তাই, যেহেতু বাংলার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে, তাই সামগ্রিকভাবে স্বচ্ছতা ও সংস্থার সুনামের কথা ভেবেই বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী রদন্তের পাশাপাশি এই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মইদুলবাবুদের সুস্পষ্ট প্রশ্ন থাকে, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এটা তো কোথাও এনআইওএস-এর তরফে সরকারিভাবে জানানো হয় নি! মইদুলবাবুদের আরও প্রশ্ন, যেখানে তদন্ত সম্পূর্ণ হয় নি এবং সেই তদন্তের রিপোর্ট জমা পরে নি – তখন কিসের ভিত্তিতে এই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হল? এবং তা শুধুমাত্র বাংলার জন্যই কেন? জবাবে রচনাদেবী জানান, পুরো প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর শুধুমাত্র বাংলায় কেন এই পরীক্ষা বাতিল হবে – সেই সিদ্ধান্ত দিল্লি থেকে নেওয়া হয়েছে। তবে, রচনাদেবী শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের দাবি মেনে নিয়ে জানান, দিল্লির নজরদারিতেই সঠিকভাবে ও স্বচ্ছপথে এই তদন্ত চলবে। এর পাশাপাশিই রচনাদেবী স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ও কথা দেন, তা দিল্লিতে সুনির্দিষ্ট জায়গায় তিনি পাঠিয়ে দেবেন। এরপরে এই বিষয়ে দিল্লি থেকে যা সিদ্ধান্ত জানানো হবে – তা তিনি জানিয়ে দেবেন। প্রসঙ্গত, শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, মইদুল ইসলাম, চিন্ময় চক্রবর্তী, শাশ্বত ঘোষ, সুজিত দাস ও রতন দে। তবে এর পাশাপাশি আগামী, ৩ রা জানুয়ারি শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের তরফে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা আদালতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা এর আগেই জানানো হয়েছিল। রাজ্যের শিক্ষকদের পরীক্ষা – প্রশ্নফাঁসের ‘অজুহাতে’ বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের স্মারকলিপি। আপনার মতামত জানান -