আদি নেতা-কর্মীরা ক্রমশ ব্রাত্য হচ্ছেন বঙ্গ-বিজেপিতে! চূড়ান্ত ক্ষোভে টালমাটাল গেরুয়া শিবির! রাজ্য হাওড়া-হুগলি February 6, 2020 লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করার পর দলের অনেক পুরনো নেতাকর্মীরা নতুনদের চাপে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। যার ফলে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অনেকক্ষেত্রেই প্রকাশ্যে চলে আসে। আর এবার বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলায় নতুন কমিটিতে পুরনো নেতাদের জায়গা না হওয়ায় তৈরি হয়েছে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ইতিমধ্যেই বিজেপির অনেক কর্মী সমর্থকরা আরামবাগ জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, পৌরসভা ভোটে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়েও দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি মাসের 2 তারিখ বিজেপির আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক কমিটি তৈরি হয়। আর তারপরেই সেখানে দেখা যায়, পুরনো অনেক নেতাদের বাদ দেয়া হয়েছে। আর এরপরই রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিমল ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেন দলের পুরোনো নেতা কর্মীরা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিজেপির অনেক পুরনো নেতাকর্মী সোশ্যাল মিডিয়ায় জেলা সভাপতির উদ্দেশ্যে কড়া প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাঁদের বক্তব্য, “আমাদের মাথায় ঢুকছে না অল্পদিনের বিজেপি কর্মী, যে কিনা মাঝে বেশ কিছুদিন তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছিলেন, এমনকি বিজেপি নেতা কর্মীদের হুমকি দিয়ে নিজেকে তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন, সেই রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় কোন অদৃশ্য কারণে আপনার স্নেহধন্য হয়ে জেলা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন! যদি এর সঠিক উত্তর দেন, তাহলে চির কৃতজ্ঞ থাকব।” আর জেলা সভাপতির উদ্দেশ্যে দলের নেতাকর্মীদের এহেন মন্তব্য এখন চরম অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিমান ঘোষ বলেন, “যারা এই ধরনের কথা বলছেন, তারা আসলে বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত নেই। ওই জেলা কমিটি নির্বাচন শুধুমাত্র আমার একার সিদ্ধান্তে হয় না। এক্ষেত্রে জেলা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটি একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয়। একশ্রেণীর তৃনমূলী এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।” তবে বিমানবাবু একথা বললেও, তার সম্পর্কে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বর্ষিয়ান বিজেপি নেতা সুকুমার খাড়া। এদিন তিনি বলেন, “দলটাকে বিক্রি করার জন্য আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি উঠেপড়ে লেগেছেন। আমরা দলের পুরোনো দিনের কর্মীসমর্থকরা তার কার্যকলাপের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অর্থের বিনিময়ে দলীয় পদ বিক্রির জন্য তিনি দরকষাকষি করেন।” তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “নিজের স্বার্থের জন্য তিনি দল নিয়ে ব্যবসা করছেন।” বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামনে পৌরসভা এবং তারপর বিধানসভা নির্বাচন। যদি এখন বিজেপি তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামলাতে না পারে, তাহলে তাদের অনৈক্য মনোভাব বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এখন বিজেপি তাদের শৃঙ্খলা রাখতে কি পদক্ষেপ নেয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -