এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে কেন যেতে চেয়েছিলেন দেবশ্রী রায়, তথ্য ফাঁস করলেন হেভিওয়েট নেতা

বিজেপিতে কেন যেতে চেয়েছিলেন দেবশ্রী রায়, তথ্য ফাঁস করলেন হেভিওয়েট নেতা


তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায় নাকি বেকার যুবকদের স্বনির্ভর করে তুলতে টোটো দেওয়ার নাম করে টাকা তুলে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন অভিযোগ এমনটাই আর এই নিয়েই এদিন সিপিএমের কটাক্ষ তিনি এই দুর্নীতি করেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে পালাতে চেয়েছিলেন।

কিছুদিন আগে বিজেপির সদর দপ্তরে তাঁর যাওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে ছিল। তবে পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূলেই রয়ে গেছেন। তবে তার দলবদলের জল্পনা কমে গেলেও এবার দুর্নীতির অভিযোগ বিদ্ধ করলো রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে। অভিযোগ, গরিব মানুষকে টোটো দেওয়ার নাম করে এই তৃণমূল বিধায়ক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। যে ঘটনায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রায়দিঘি বিধানসভা জুড়ে। তাঁর নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রেই তাঁর বিরুদ্ধে ৮০ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

আর নিয়েই সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এলাকায় প্রায় দুহাজার মানুষের কাছ থেকে চার হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এই ৮০ লক্ষ টাকা তোলার পরই তিনি দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। তৃণমূল ছাড়তে চেয়ে বিজেপি অফিসে গিয়ে বসেছিলেন বলে অভিযোগ।

সিপিএম নেতার অভিযোগ, সেই থেকে তিনি রায়দিঘি আসেননি। সেই কারণে জনরোষ তৈরি হয়েছে এলাকায়। যাঁদের কাছ থেকে তিনি টোটো দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন, তাঁরাই এখন টাকা ফেরত চাইছেন, নতুবা অবিলম্বে টোটো দেওয়ার দাবি করছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের একদম শুরুর দিকে রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে টোটো দেওয়ার ব্যাপারে দলের সকলকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন। আর সেখানেই তিনি তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দেবশ্রী রায় ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সেই টোটো দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন সকলকে। তবে প্রথমে এই ব্যাপারে আপত্তি জানান দলের একাংশ। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর সাথে যাতে অন্তত কথা বলা হয়, তার ব্যাপারে তৃণমূল বিধায়কের কাছে আবেদন জানান দলের অনেক নেতা-কর্মী।

তবে কারোরই কোনো কথার গুরুত্ব দেননি দেবশ্রীদেবী বলে অভিযোগ। আর এরপরই তিনি বলেন, “আমার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে রায়দিঘির গরিব মানুষকে টোটো দেওয়া হবে। যারা নিতে চান, তাদের নাম রেজিস্ট্রি করার জন্য 4 হাজার টাকা দিতে হবে।” এদিকে এই ঘটনার পরই পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকজনকে দিয়ে দফায় দফায় এলাকা থেকে প্রচুর টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে দেবশ্রী রায়ের বিরুদ্ধে। তবে প্রচুর টাকা নিয়ে নিলেও এখনও পর্যন্ত টোটো না পাওয়ায় এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এলাকাবাসীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাদের দাবি, স্থানীয় বিধায়ক তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সূত্রের খবর, এদিন রায়দিঘি বিধানসভা জুড়ে পোস্টার দিয়ে লেখা হয়েছে, “দেবশ্রী রায় হয় টোটো দাও, না হলে টাকা ফেরত দাও।” আর দলীয় বিধায়কের এহেন কাণ্ডের জেরে এখন যেমন অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তেমনই পাল্টা এই ব্যাপারে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

তাঁর আরও অভিযোগ, “অনেককে টাকার রশিদ দেওয়া হয়েছে, আবার কাউকে কাউকে দেওয়া হয়নি। অনেকের কাছ থেকে 10 থেকে 15 হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।” একইভাবে তৃণমূল বিধায়কের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে এই প্রসঙ্গে মথুরাপুর 2 নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অলক জলদাতা বলেন, “সাত থেকে আট মাস আগে বিধায়ক এই নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের ডেকেছিলেন। সেখানে রায়দিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের 17 টি অঞ্চলের বুথ থেকে ব্লক পর্যন্ত অঞ্চলের বুথ থেকে ব্লক পর্যন্ত দলের সব পদাধিকারী ছিলেন।”

অলকবাবুর বক্তব্য, “স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে টাকা তুলে টোটো দেওয়ার ব্যাপারে দল যে দায়িত্ব নেবে না, এটা আমরা বিধায়ককে জানিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিধায়ক কোনো গুরুত্ব দেয়নি।” এদিকে এই ব্যাপারে মথুরাপুরের তৃণমূল সাংসদ সিএম জাটুয়া বলেন, “এই ঘটনার পর কিছুটা আমার কানে আসে। তারপর বিধায়ককে ফোন করি। কিন্তু তিনি কখনই ফোন ধরেন না বলে যাচাই করতে পারিনি। তবে জেলার সভাপতিকে অবগত করা হয়েছে।” এদিকে যাকে নিয়ে এত ঘটনা, সেই দেবশ্রী রায়ের কোনো সরকারি বক্তব্য এখনও জানা যায় নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!