PM Care Fund-এ শেষমেশ কত টাকা জমা পড়ল জানেন? হিসেব সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ আমজনতার! জাতীয় বিশেষ খবর October 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের মানুষের সাহায্যে, বারবার নিজের উদার হাতে মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল কিভাবে নিজের পাওনা টাকা থেকে দেশের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন তিনি। সেখানে জানা যায় একাধিক নিলাম বা পুরস্কারের টাকাতেই কাজ করে চলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর উপহারে পাওয়া সমস্ত সামগ্রী তিনি নিলাম করে পাওয়া টাকা থেকে কন্যা কেলাবনি ফান্ডে তিনি দান করেছিলেন বলে জানা যায়। যা কন্যা সন্তানদের পড়াশোনার জন্য খরচ হয়েছিল। এছাড়া তিনি গুজরাট সরকারের কর্মচারীদের কন্যা সন্তানদের পড়াশোনার জন্য ২১ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন বলেও জানা যায়। অন্যদিকে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের প্রাপ্ত সমস্ত উপহার সামগ্রী সুরাটে তিনি নিলাম করে পাওয়া টাকা থেকে ৮.৩৫ কোটি টাকার পুরোটাই তিনি নমমি গঙ্গে অভিযানে দান করেছিলেন বলেও জানা গেছে। সেইসঙ্গে ২০১৯ সালে কুম্ভ মেলায় সুরক্ষাকর্মীদের জন্য বানানো ফান্ডে তিনি নিজের সঞ্চয় থেকে ২১ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে এবার জল্পনা শুরু হয়েছে তাঁর পিএম ফান্ড নিয়ে। জানা গেছে, পিএম কেয়ার ফান্ডে রেল থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা বিভাগ নিয়ে অন্তত ৫০টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন থেকে ১৫৭.২৩ কোটি টাকা জমা পড়েছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র রেলের কর্মীদের বেতন থেকেই ১৪৬.৭২ কোটি টাকা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ওই বিশেষ তহবিলে। এছাড়া মহাকাশ গবেষণা বিভাগের কর্মীদের বেতন থেকে ৫.১৮ কোটি টাকা জমা পড়েছে বলেও জানা গেছে। বস্তুত, গত ২৮শে মার্চ করোনা সংক্রমণের জেরে দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে মানুষের সাহায্যার্থে প্রধানমন্ত্রী এই ফান্ড গঠন করেছিলেন। ৩১শে মার্চের মধ্যে ওই ফান্ডে ৩,০৭৬.৬২ কোটি টাকা জমা পড়ে বলে জানা যায়। যার মধ্যে ৩,০৭৫.৮৫ কোটি টাকাই স্বেচ্ছায় দান করা বলে জানানো হয়েছিল। এক্ষেত্রে সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ওই ফান্ডে এখনো পর্যন্ত মোট ২,১০৫ কোটি টাকা ৩৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মারফত কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি হিসাবে জমা পড়েছে। অন্যদিকে ২০৪.৭৫ কোটি টাকা সাতটি ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তরফে জমা পড়েছে বলেও তথ্য সূত্রে জানা গেছে। সেই সঙ্গে ২১.৮১ কোটি টাকা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে এবং কর্মীদের বেতন থেকে কেটে জমা করা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। তবে এই প্রসঙ্গে যদিও মহাকাশ গবেষণা বিভাগ নিজেদের কর্মীদের বেতন থেকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কর্মীরা পিএম কেয়ার ফান্ডে সাহায্য দান করেছেন বলে জানালেও, সরকারি তরফে কিছু জানা যায়নি। এদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা, পিএমও, পোস্ট অফিসের মত বড় সরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে পিএম কেয়ার ফান্ডের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রীর দফতর এর আগে এতদিন যা সাহায্য জমা পড়েছে, তার তথ্য দিতে প্রকাশ করেননি। তাদের মতে, পিএম কেয়ার ফান্ড জনগণের তথ্য জানার অধিকারের আইনের আওতায় পড়ে না। তবে যাবতীয় তথ্য পিএমকেয়ারস ডট গভ ডট ইন ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। আপনার মতামত জানান -