এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে নেত্রীকে নালিশ মানস ভুঁইয়া-র

পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে নেত্রীকে নালিশ মানস ভুঁইয়া-র


গতকাল রাজ্যের একদফায় পঞ্চায়েত ভোটগ্রহণকালে সন্ত্রাসের দেখা মিলল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর,নারায়ণগড়, শালবনীর মতো এলাকায়। একইভাবে সন্ত্রাসের পারদ চড়েছিল সবং এলাকাতেও এদিন ভোর থেকেই। জানা গেছে সমস্ত এলাকাতেই নাকি বিরোধীরা একজোট হয়ে তৃণমূলের উপর চড়াও হয়। সবং এর মোহড় এলাকাতে বিজেপি নাকি অবাধ তান্ডব চালায়। তারা নাকি ঘাসফুলদলের চারটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই প্রেক্ষিতেই মুখের কুলুপ খোলেন তৃণমূলের রাজ্যসভাস সাংসদ মানস ভুঁইয়া। প্রশ্ন তোলেন সবং থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। অভিযোগে তিনি জানান বিরোধী দিনভর সন্ত্রাসের দামামা বাজালেও কেন পুলিশ তাঁদের হয়ে কাজ করল? কেন একজন সিপিএম,কংগ্রেস বা বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করতে পারল না তাঁরা? এই অভিযোগই জানিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি এবং জেলার পুলিশ সুপারকে মানসবাবু।

মানসবাবুর আরো জানান যে গত এক সপ্তাহে সবং এর ছবিই পাল্টে গেছে। বিরোধীরা সব জোটবদ্ধভাবে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চক্রান্তে রত ছিল। শুধু হিংসার রাজনীতিই চালায়নি একইসঙ্গে করেছে ভাঙচুর,ব্যালট লুঠপাট এবং আগুন জ্বালিয়ে নথিপত্র নষ্ট করারর মতো হীন কাজ। আর এই সন্ত্রাসের আবহে পুলিশের ভূমিকা তাকে হতবাক করেছে। সব জায়গাতেই পুলিশ সক্রিয় ছিল শুধু সবং এর পুলিশ নির্বাক দর্শকের ভূমিকায় ছিল। এককাল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন মানস ভুঁইয়া। রাজ্যসরকার তাঁর আবেগের জায়গায় আছে। সেই আবেগ থেকেই তিনি দাবীতে আরো জানান যে সবং থানার পুলিশ বোধহয় রাজ্যসরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের গরিমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্যেই এরকম নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল। তবে এ অভিযোগের ভিত্তিতে জেলার পুলিশ কর্তাদের ভিতর কোনো নড়াচড়া লক্ষ্য করা যায়নি এখনো অব্দি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!