এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > নিজের মত করে একের পর এক মানবিক পদক্ষেপ! ক্রমশ গোটা বাংলার ‘দিল’ জিতে নিচ্ছেন সাংসদ দেব

নিজের মত করে একের পর এক মানবিক পদক্ষেপ! ক্রমশ গোটা বাংলার ‘দিল’ জিতে নিচ্ছেন সাংসদ দেব


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আবারও হিরো সংসদ দেব। তবে সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তবের জগতে। কিছুদিন আগের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তিনি রাজনীতিতে এসেছেন মানুষের সাহায্য করতে। তবে সেই কথা মত যদিও এর আগে অনেকবারই তাঁর মানবিক রূপ মানুষ দেখেছে, তবুও আবার সেই কথাই আরো একবার প্রমাণ করে দিলেন তিনি। আর তাই অভাবী কিন্তু মেধাসম্পন্ন দুই ছাত্রীর জীবনে তিনি এনে দিয়েছেন আশার আলো।

কথা হচ্ছে পান্না গ্রামের দুই আদিবাসী ছাত্রীর। করোনা আবহে লকডাউন চলাকালীন সাংসদ দেবের প্রতিনিধিরা ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় শুকনো খাবার এবং রান্না করা খাবার বিলি করেছিলেন। সেইসময় অভাবী আদিবাসী সংসারের ওই দুই বোনের কথা জানতে পারেন দেবের প্রতিনিধিরা। আর তাদের মাধ্যমে জানতে পারেন দেব। এরপরই সেই মেয়ে দুটির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এছাড়াও আরো একটি মেয়ের পড়াশুনোর জন্যেও তিনি সাহায্য করেছিলেন বলে জানা যায়। তবে সাহায্য পেয়ে তারাও যে বেশ খুশি হয়েছে সেই খবরও পাওয়া গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঘটনা হল, উক্ত ছাত্রীদুটির অভাবের সংসারে বাবা দিনমজুর, মা পরিচারিকা। সংসারের আফুরান অভাবের মধ্যেও ডব্লুবিসিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন ঘাটালের এই দুই বোন। সম্প্রতি কলেজে ভরতি হয়েছেন তারা। তবে ভবিষ্যতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার টাকাপয়সা ছিল না। সেইসঙ্গে ল্যাপটপ কিংবা কমপিউটার না থাকায় অনলাইনে ক্লাস করতে অসুবিধে হচ্ছিল। এই খবরটি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সাংসদ অভিনেতার কাছে পৌঁছায়। ফলত উচ্চশিক্ষার জন্য ল্যাপটপ ও আর্থিক সাহায্য করেন তিনি। দেবের হয়ে ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পাল ওই দুই বোন রিনা ও বিনা নায়েকের হাতে ল্যাপটপ তুলে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও এক বোনকে পড়াশোনার খরচ বাবদ ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। জুন মাসেও মহকুমা শাসক নিজের পারিশ্রমিক থেকে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

তবে এখানেই শেষ নয়, পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাটের এক অসহায় ছাত্রীকেও এভাবেই সাহায্য করেছেন দেব। মেয়েটির বাবা প্রতিবন্ধী, মা পরিচারিকা। কষ্টের সংসারে কলেজে ভরতি হওয়ার টাকা ছিল না। তাই মুশকিল আসান হতে হল তাঁকে। এছাড়া লকডাউনের শুরু থেকে পরিযায়ীদের ঘরে ফিরিয়ে আনা, দুস্থদের সাহায্য, বৃদ্ধ মাস্ক বিক্রেতার পাশে দাঁড়ানো অনেক মানবিক মুখ দেখেছি আমরা। সেই সঙ্গে যাদবপুরের মুমূর্ষু করোনা রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করা টালিগঞ্জের করোনা আক্রান্ত পরিবারের নিত্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, করোনা রোগীর জন্য প্লাজমার ব্যবস্থা করা সবই করেছেন তিনি। তবে এবার এই সাহায্যের কাজ তাঁর মুকুটে আরো একটি পালক যোগ করলো বলেই মনে করছেন অনুরাগীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!