এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মতুয়াদের মান ভাঙাতে আসরে আজ অমিত শাহ, প্রস্তুতি তুঙ্গে

মতুয়াদের মান ভাঙাতে আসরে আজ অমিত শাহ, প্রস্তুতি তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের মুখে মতুয়া ভোট কাছে টানতে মরিয়া তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষই। অবশ্য লোকসভা নির্বাচন থেকেই মতুয়ারা তাঁদের ভোট উজাড় করে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। বদলে তাঁদের জন্য ছিল প্রতিশ্রুতি সংশোধিত নাগরিকত্বের। কিন্তু দীর্ঘ সময় চলে গেলেও এখনো পর্যন্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিন্দুমাত্র এরাজ্যে এগোয়নি গেরুয়া শিবির। যথারীতি ক্ষোভ বাড়ছে মতুয়া মহলে। আর মতুয়াদের ক্ষোভ থামাতে এবার আসরে নামছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কবে চালু হবে, সে ব্যাপারে বার্তা দিতে আজ ঠাকুরনগরে বড়সড় সভা করতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

জানা গিয়েছে অমিত শাহ রাজ্যে এসে প্রথমে কোচবিহারে যাবেন, সেখানে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করে ঠাকুরনগরে আসবেন মতুয়াদের সভায় ঠাকুরনগরে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন সেখানকার সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, অমিত শাহ ঠাকুরনগরে এসে হরিগুরুচাঁদ মন্দিরে প্রথমে পুজো দেবেন। অন্যদিকে ঠাকুরনগরে অমিত শাহের সভা ঘিরে ইতিমধ্যেই দ্বিখন্ডিত মতুয়া মহল। অমিত শাহের রাজ্যে এসে ঠাকুরনগরের সভা করা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর তীব্র কটাক্ষ সহযোগে বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও ভাঁওতা দিতে আসছেন। পাশাপাশি তাঁর সভাতেও যে ভিড় হবেনা তা নিয়ে রীতিমতো বিদ্রুপ করেছেন মমতাবালা ঠাকুর।

উল্লেখ্য, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সভায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ভিড় না হওয়ায় গেরুয়া শিবিরের কপালে পড়েছে ভাঁজ। তবে মমতা বালা ঠাকুরের কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। প্রসঙ্গত, অমিত শাহের ঠাকুরনগরে এই সভা হওয়ার কথা ছিল গত 30 শে জানুয়ারি। কিন্তু ঠিক আগের রাতে দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের কারণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর সফর বাতিল করেন। যদিও তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। তখন থেকেই শোনা যাচ্ছিল, অমিত শাহ পরবর্তীতে ঠাকুরনগরে সভা আবার করবেন। সেই অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার অমিত শাহের সভার সিদ্ধান্ত হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, সভায় ভিড় যথেষ্টই হবে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে অথবা মতুয়া ভক্তরা আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি শান্তনু ঠাকুর মমতা বালা ঠাকুরের কটাক্ষ নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়ে জানিয়েছেন, মতুয়াদের মন বোঝার ক্ষমতা নেই মমতা বালা ঠাকুরের। আর সে কারণেই তিনি হেরে গেছেন। কিছু করতে পারেননি বলেই তিনি এই সব কথা বলছেন। তবে রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, মতুয়াদের সামলাতে গিয়ে মাঝে মাঝেই বেসুরো হয়ে পড়ছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

তাঁকে বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপির পক্ষ থেকে মতুয়াদের পাশে পাওয়া যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিধানসভা নির্বাচনে সে ব্যাপারে একমত ভোট বিশেষজ্ঞরা। কারণ, মতুয়ারা যদি গেরুয়া শিবিরের পাশ থেকে সরে যায়, তাহলে কিন্তু চাপের মুখে পড়বে বঙ্গ বিজেপি। আর তাই পরিস্থিতি সামলাতে একেবারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আসরে নেমেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পরোক্ষে বলা যায়, মতুয়াদের মন জয় করে গেরুয়া শিবির ছক কষছে নবান্ন দখলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!