সংসদে বিল পাস হওয়া সত্ত্বেও তিন তালাকের ঘটনা ঘটেই চলেছে, চাঞ্চল্য সর্বত্র কলকাতা জাতীয় রাজ্য August 4, 2019 কথায় আছে, আইন যেমন থাকে, তেমন আইনের ফাঁকও থাকে। ভারতবর্ষে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইন হয়েছে, কিন্তু সেই আইনের ফাঁকফোকর বেয়ে অন্যায্য কাজ হতেও দেখা গেছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে এমনটা হলে সমাজে তার প্রত্যক্ষ ভাবে প্রভাব পড়ে। যার জেরে সমস্যা তৈরি হয় অনেক জায়গাতেই। যেমন, তিন তালাক বিল। মুসলিম মহিলাদের দীর্ঘদিন ধরে এই তিন তালাকের জন্যই পুরুষদের শোষণের শিকার হতে হয়েছে বলে দাবি করেন একাংশ। সংখ্যালঘু মহিলাদের অভিযোগ, তাদের কোনো কাজ পছন্দ না হলেই বিভিন্ন সময় তাদের তিনবার তালাক বলে সম্পর্ক থেকে বিতাড়িত করে দেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি মুসলিম মহিলাদের এই ব্যাপারে স্বস্তি দিতে সংসদের দুই কক্ষেই তিন তালাক বিল পাস করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতিও সেইখানে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। যার ফলে এখন এটি কার্যত আইনে পরিণত হয়ে গেছে। কিন্তু তিন তালাক বিল আইনে পরিণত হলেও ফের সেই তিন তালাকের ঘটনা প্রকাশ্যে চলে এল। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বিয়ের 3 বছরের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন স্বামী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে আইনে রয়েছে, কোনোভাবেই এই তিন তালাক দিয়ে মুসলিম মহিলাদের বিপাকে ফেলা যাবে না। আর যদি তা করা হয়, তাহলে তিন বছরের কারাদণ্ডের মতো কঠিন সাজা হবে। কিন্তু কিসের কি! নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে এই আইন পাসের পরেও হোয়াটসঅ্যাপে এক ব্যক্তিকে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিতে দেখা গেল। তবে আইন বলে যে একটি জিনিস রয়েছে, তা এবার প্রমাণ হয়ে গেল। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার এই তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তও শুরু করা হয়েছে। তিন তালাক দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিনশট তদন্তকারী আধিকারিকরা নিজেদের কাছে নিয়ে নিয়েছেন। বস্তুত, অভিযুক্ত ব্যক্তি আবু ধাবিতে সেলস ম্যানেজার এর কাজ করতেন। এদিন তার স্ত্রী দাবি করেছেন যে, তার স্বামী তাকে তালাক দেওয়ার পর নতুন বিয়ে করে অন্য জায়গায় থাকেন। সমাজকর্মীদের একাংশের মতে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমাজে ঘুণ ধরা ব্যবস্থাকে পরিষ্কার করতে গেলে সমস্যা আসবে। যেমন তিন তালাকের নিয়মকে মুসলিম সমাজ থেকে দূরীভূত করতে কেন্দ্রীয় সরকার যা উদ্যোগ নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু সমাজে জাঁকিয়ে বসা এই নিয়ম অত সহজে হয়ত যাবে না। তবে কঠোর আইনের মধ্যে দিয়ে যদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলে হয়ত অচিরেই মুসলিম মহিলারা তাদের স্বাধীনতা ফিরে পেতে শুরু করবেন। আপনার মতামত জানান -