“অ্যাক্সিডেন্টাল চিফ মিনিস্টার” বলে স্বীকার করে নিয়ে এবার রাজনীতি ছাড়তে চান এই হেভিওয়েট ব্যক্তি জাতীয় August 4, 2019 সকলেই শৈশবকালে খেলতে গিয়ে বিভিন্ন খেলায় পরাজিত হয়েছে। আর শৈশবের সুকুমার মতি বুদ্ধিতে কেউ কোনো খেলায় পরাজিত হলেই “অনেক খেলেছি আর খেলতে ইচ্ছে করছে না” বলে পাশ কাটিয়ে যায়। অর্থাৎ পরাজয়টাকে যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না ছোট ছোট বাচ্চারা। আর তাইতো বাধ্য হয়ে সেই খেলা থেকে রণেভঙ্গ দিতে দেখা যায় তাদের। কিন্তু খুদে খুদে সেই বাচ্চাদের খেলার সঙ্গে তো রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে কেনই বা আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ খোয়ানোর পর এবার রাজনীতি থেকেই নির্বাসন নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন জেডিএস নেতা তথা কর্নাটকের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী! একাংশের মতে, রাজনীতিতে এখন পরাজয় লাভ করলেই রণেভঙ্গ দিয়ে সেখান থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে দেখা যায় রাজনীতিবিদদের। এইচডি কুমারস্বামীর ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হতে চলেছে। বস্তুত, 14 মাস আগে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এই কুমারস্বামী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তার দল জেডিএস এবং কংগ্রেস জোট করে বিজেপিকে রুখতে কর্নাটকে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু বিজেপিকে রুখতে সরকার গঠন করা হলেও বিভিন্ন সময়ই এই কংগ্রেস এবং জেডিএসের মধ্যে নানা সমস্যা তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছয় যে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শরিক দলের চাপে কাজ করা যাচ্ছে না বলেও জানাতে দেখা যায় সেই কুমারস্বামীকে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সুখ না থাকলে সেই জীবন বেশিদিন চিরস্থায়ী হয় না। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই হল। কংগ্রেস-জেডিএসের দীর্ঘদিনকার সমস্যায় অবশেষে একাধিক বিধায়কের ইস্তফায় সংকটের মুখে পড়ল কর্নাটকের জোট সরকার। আর এরপরই আস্থাভোট প্রমাণ করতে গিয়ে রীতিমত সমস্যায় পড়লেন সেই এইচডি কুমারস্বামী। মুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হল তাকে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ খাওয়ানোর পর শনিবার সেই কুমারস্বামীর সাংবাদিক সম্মেলন সবাইকে রীতিমত অবাক করে দিল। সূত্রের খবর, এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি লক্ষ্য করছি আজকাল রাজনীতি যেদিকে যাচ্ছে, সেটা আর ভালো মানুষের বিষয় নেই। পুরোটাই জাতপাতের উপরে চলছে। আমি আর পারছি না। আমাকে রাজনীতি করতেই হবে এমন কোনো মানে নেই। আমি মানুষের মনে জায়গা করে নিতে চাই। এখন রাজনীতি থেকে দূরে চলে যাওয়ার কথা ভাবছি। আমাকে ঈশ্বর দুবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। 14 মাস ক্ষমতায় ছিলাম। মানুষের সেবা করেছি। এতেই আমি সন্তুষ্ট।” আর কুমারস্বামীর এই ধরনের মন্তব্যেই এবার ছড়িয়ে পড়েছে বিতর্ক। সমালোচক মহলের একাংশের দাবি, তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী পদে না থাকতে পেরেই এবার রাজনীতি থেকে দূরে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন এইচডি কুমারস্বামী! অনেকে বলছেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য বা ক্ষমতা ভোগ করার জন্যই কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়েছে। যার মধ্যে হয়তো বা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও পড়েন। তাইতো মুখ্যমন্ত্রী পদ খোয়ানোর সাথে সাথেই তিনি আর রাজনীতি করতে পারবেন না বলে নিজেকে কিছুটা রাজনীতি থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন কুমারস্বামী। যা প্রকৃত রাজনীতিবিদ হিসেবে অত্যন্ত কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে মত বিশ্লেষকদের। আপনার মতামত জানান -