এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘ব্যবসায়িক স্বার্থ’ আটকাতে বড়সড় পদক্ষেপ হেভিওয়েট মন্ত্রীর, গঠন করছেন বিশেষ টাস্ক ফোর্স!

‘ব্যবসায়িক স্বার্থ’ আটকাতে বড়সড় পদক্ষেপ হেভিওয়েট মন্ত্রীর, গঠন করছেন বিশেষ টাস্ক ফোর্স!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সুপার সাইক্লোন উম্পুনের ফলে কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ভেঙেছে গাছ। নষ্ট হয়েছে সবুজের। এই ক্ষতিপূরণ ঢাকতে না পারলে আগামী দিনে রাজ্যে যে আরও খারাপ দিন আসতে পারে তা বলাই বাহুল্য। বিজ্ঞানী, পরিবেশবদিরা আগেই জানিয়েছেন, গাছ না লাগালে বাঁচবে না প্রাণ। তাই উম্পুন পরবর্তি সময়ে রাজ্যে নতুন করে গাছ লাগানোর জন্য সচেষ্ট বঙ্গ রাজ্য প্রশাসন। যার অগ্রভাগে রয়েছেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। গাছ লাগানোর পাশাপাশি সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ ব্যবসায়িক স্বার্থে জমি চুরি রোধ করা।

রবিবার পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির মাঠা বনাঞ্চলের কার্যালয়ে যান বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল সহ বনদপ্তরের কর্তারা। সেখানে একটি ছৌ- মুখোশের স্টল এবং ট্রেকিং করতে আসা ব্যক্তিদের আশ্রয়ের জন্য শেডের উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী। এদিন তিনি স্থানীয় যৌথ বন পরিচালন সমিতির ৫০০জন সদস্যর হাতে বেশকিছু সামগ্রীও তুলে দেন।

রাজীববাবুর কথায়, “ব্যবসায়িক স্বার্থে কেউ কেউ বনদপ্তরের জমি দখলের চেষ্টা করছে। কড়া হাতে তা মোকাবিলা করা হবে। বনের জমি এই এলাকার সাধারণ মানুষদের জন্য। কোনও বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না। যতদিন দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছি, ততদিন অন্যায় করতে দেব না।” একই সঙ্গে বরাবাজারের পাথর খাদানের খবর পাওয়ার পরই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও বলেছেন, “এদিনই পুরুলিয়ায় বনদপ্তরের আধিকারিক, পুলিস ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও বনদপ্তরের জমি ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য বেশকিছু নতুন পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। রাস্তা, শৌচালয় তৈরি থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের কাজ স্থানীয় বাসিন্দাদের দিয়েই করানো হবে। তাতে এলাকার মানুষ নিজেদের জিনিস যত্ন করে তৈরি করবেন। পাশাপাশি আর্থিকভাবেও তাঁরা স্বনির্ভর হবেন। করোনা পরিস্থিতির আগেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পরিকল্পনা আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।”

এর পাশাপাশি রাজীববাবুর আরও সংযোজন, “উম্পুনে রাজ্যে ১ কোটি ২০ লক্ষ গাছ নষ্ট হয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই ‘রিগ্রিনিং বেঙ্গল’ তথা বনমহোৎসবের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা রাজ্যে সাড়ে তিন কোটি গাছ লাগানো হবে। এছাড়াও সুন্দরবনে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানো হবে। করোনা থেকে উম্পুন, সব পরিস্থিতেই বনদপ্তর সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যেই সাধারণ মানুষকে সাহায্য করে গিয়েছে।

গোটা রাজ্যে বিভিন্ন গাছের নামে বহু গ্রাম রয়েছে। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে গাছের নামে গ্রামের নাম হলেও বর্তমানে ওই গ্রামে গিয়ে সেই গাছগুলি আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই রাজ্যের যে সমস্ত গ্রাম গাছের নামে রয়েছে, সেখানে বনদপ্তর ওই গাছই লাগাবে। অর্জুনজোড়ায় অর্জুন গাছ, আমলাতোড়ায় আমলকি গাছ, জামবাঁধে জামগাছ, শিমুলটাঁড়ে শিমুলগাছ, শালবনীতে শালগাছ।” আগামী দিনে পুরুলিয়া সহ রায়ের অন্যান্য গ্রামেও গাছ লাগানোর এই কর্মসূচির মাধ্যমে নামকরণের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী।

এদিন বনমন্ত্রীর নির্দেশে প্রধান মুখ্য বনপাল (সাউথ ওয়েস্ট সার্কেল) সৌরভ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, পুরুলিয়া জেলায় বরাবাজারে বনদপ্তরের জমিতে থাকা ১৮ টি খাদান বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি খাদানগুলিতে যোগাযোগের ৮টি রাস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে। ওই সব খাদান এলাকায় ১০০ দিনের প্রকল্পে গাছ লাগানো হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!