এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পরিযায়ীদের খুশি করতে অন্যদের সুবিধায় কোপ! ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাম বাংলায়! চিন্তায় শাসকশিবির

পরিযায়ীদের খুশি করতে অন্যদের সুবিধায় কোপ! ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাম বাংলায়! চিন্তায় শাসকশিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাস, লকডাউন, আমফান সব কিছু মিলিয়ে রাজ্যের অর্থনৈতিক হাল একেবারেই প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যেও চাকরির বাজার আশার আলো দেখাতে পারছে না। তাই যারা যেখানে এখন রয়েছেন সেখানেই চাইছেন কাজ খুঁজে নিতে।রাজ্য সরকারও সেই সুযোগ উন্নত করতে চাইছে গ্রামের অর্থনীতি। তাই জোর দেওয়া হচ্ছে ১০০ দিনের কর্ম প্রকল্পে। কিন্তু সেখানেও এক বিপত্তি।

স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, বহু পুরনো জব কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঁচলা পঞ্চায়েত সমিতি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পরিযায়ীদের কাজ পাইয়ে দিতে গিয়েই এই সমস্যা বলে মনে করছেন একাংশ। সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল বলেন, “ব্লকে মোট তিন হাজার পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন। তাঁদের নতুন জব কার্ড দিতে হলে কিছু পুরনো জব কার্ড বাতিল না-করে উপায় নেই।”

কিন্তু এই সমস্যাটা হল কীভাবে। কেনই বা চাকরি পাচ্ছেন না পুরানোরা। সমিতির কর্তাদের দাবি, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে পরিবারপ্রতি কাজের গড় দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কাজের গড় দিন বেশি হলে পরের বছরের বরাদ্দ বাড়ে। কাজের গড় দিন ঠিক হয় ব্লকে মোট যত জব কার্ড আছে, তার সংখ্যাকে কতদিন মোট কাজ হল তার সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে।

পাঁচলায় এখন যা জব কার্ড আছে, তার সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের জব কার্ড যোগ হলে শেষ পর্যন্ত পরিবারপ্রতি কাজের গড় দিন কমে যাবে। সেই কারণেই তাঁরা পুরনো কিছু জব কার্ড বাতিল করতে চাইছেন। তা হলে জব কার্ডের মোট সংখ্যা খুব একটা বাড়বে না। পরিবার পিছু চাকুরিজীবীর সংখ্যাও মোটের উপর অপরিবর্তিত থাকবে। উপরি ছবি অনুযায়ী নিজের মার্কশীট ভালো রাখতে পারবে রাজ্য সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও পাঁচলার মতো অবস্থা এক নয় সব জায়গায়। বরং তারা বলছে এই গড় হিসেব বজায় রাখার ব্যবস্থা পুরানো হয়েছে আগেই। তাই জব কার্ড নিয়ে এখন চিন্তার খুব বেশি কিছু নেই। জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান, কার্ড বাতিল করতে হলে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা যায়। তবে, এখন তার দরকার নেই। একটা সময়ে পরিবারপ্রতি কাজের গড় দিনের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হত ঠিকই, তা নিয়ে বিভিন্ন ব্লকে প্রতিযোগিতাও হত। কিন্তু দু’বছর ধরে আর পরিবারপ্রতি কাজের দিনের গড়ের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। উল্টে এ বছর করোনার জন্য বলা হয়েছে, যত বেশি সম্ভব প্রকল্প করে পরিযায়ী শ্রমিক এবং অন্যদের লাগাতার কাজ দিতে।

আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেন, “আমরা সেচ দফতরের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ৪১টি জায়গায় নদীবাঁধে মাটি ফেলছি। এতে সদ্য কার্ড পাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকেরাও কাজ করছেন।” ডমজুর পঞ্চায়েত সমিতি থেকেও মিলছে এই একই তথ্য। অন্যথা শুধু এই পাঁচলায়।

সমিতির সহ-সভাপতির বলেছেন, “আমরাও কাজের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মোট ২৮টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করে জবকার্ডধারীদের দিয়ে কাজ দেওয়া হয়েছে। যে সব জব কার্ড বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলির অধিকাংশ নিষ্ক্রিয়। বাংলা আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলি প্রভৃতি প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ার জন্যই গ্রামবাসীদের একাংশ জব কার্ড নিয়েছিলেন। তাঁদেরই জব কার্ড বাতিল হচ্ছে। যে সব পুরনো জবকার্ডধারী নিয়মিত কাজ করছেন এখন, তাঁদের একজনেরও কার্ড বাতিল করা হচ্ছে না।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!