এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে চমক, নিজের বেতন দিয়ে সাহায্য শুভেন্দুর! শিক্ষা নেবেন মমতা?

ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে চমক, নিজের বেতন দিয়ে সাহায্য শুভেন্দুর! শিক্ষা নেবেন মমতা?


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শহীদ মিনারে প্রায় 237 দিনের বেশি সময় ধরে চলছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আন্দোলন। ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে তাদের এই আন্দোলন চললেও রোদ, ঝড়, জল, বর্ষায় সরকারি কর্মচারীরা পড়ে থাকলেও, সেদিকে নজর নেই রাজ্য সরকারের। বরঞ্চ কয়েক হাত দূরে রাজ্য বিধানসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করছেন যে, মন্ত্রী, বিধায়কদের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু এই সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির দিকে কোনো পদক্ষেপ নেই রাজ্য সরকারের। তবে গরিবের বন্ধু হিসেবে আবারও পরিচয় দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে সরকার যে বর্ধিত বেতন দিয়েছে, সেই বেতন আন্দোলন কারীদের প্রদান করার প্রস্তাব দিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আজ শহীদ মিনারে দীর্ঘদিন ধরে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কর্মসূচিতে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, কিছুদিন আগে সরকার মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। তাই তিনি এই বর্ধিত বেতন এই আন্দোলনকারী কর্মচারীদের দিয়ে সাহায্য করতে চান। যদিও বা আইনি লড়াই সহ একাধিক বিষয়ের কারণে এই সামান্য আর্থিক সহায়তা হয়তো কিছুই না। তবে তাদের আন্দোলনকে সম্মান দিয়ে বিরোধী দলনেতার এই পাশে থাকার প্রয়াস সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মনোবলকে অনেকটাই বৃদ্ধি করবে। কিন্তু শুধুমাত্র বিরোধী দলের নেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী এই মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, সরকার কি তা থেকে শিক্ষা নেবে? শিক্ষা নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

বিরোধীদের দাবি, এই সরকারের লজ্জা বলতে আর অবশিষ্ট কিছুই নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই সরকারি কর্মচারীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। কিন্তু কখনও তাদের বামপন্থী বলে, আবার কখনও বিরোধী বলে সরকারের পক্ষ থেকে খাটো করা হয়েছে। কিন্তু তাদের অভাব অনুভব করার মত ক্ষমতা সরকারের হয়নি। বরঞ্চ তারা বিধানসভা থেকে মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধি করার মত ঘোষণা করতে পারেন। কিন্তু ডিএ বৃদ্ধি করার মতো ঘোষণা করা তো দূরের কথা, সেই সমস্ত আন্দোলন করা কর্মচারীদের মঞ্চে গিয়ে একবার সমবেদনা পর্যন্ত দিতে পারেন না। তবে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী সরকারের মুখে ঝামা ঘষে দিলেন। বিরোধী নেতা হিসেবে মানুষের ব্যথা বেদনা উপলব্ধি করার যতটুকু ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন, তার সবটাই যে তার মধ্যে রয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। হয়তো তার এই সাহায্য অত্যন্ত ক্ষুদ্র। এটা শুভেন্দু অধিকারী নিজেও বলেছেন। কিন্তু তার এই ইচ্ছা, এই আগ্রহ, এই মানবিকতা যদি বিন্দুমাত্র সরকারের থাকতো, তাহলে হয়তো এই আন্দোলনের কোনো প্রয়োজনীয়তাই থাকতো না। কিন্তু তা বোঝার মত ক্ষমতা এই রাজ্য সরকারের হয়নি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আজকে নতুন নয়। শুভেন্দু অধিকারী যেদিন রাজ্য সরকার এই বর্ধিত বেতনের কথা ঘোষণা করেছিলেন, যেদিন মুখ্যমন্ত্রী বড় বড় গলায় বিধানসভা থেকে এই ঘোষণা করে ভেবেছিলেন যে, বিরোধীরা খুশি হয়ে যাবে, সেদিনই শুভেন্দু অধিকারী সরকারকে জবাব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন যে, এই বেতন তাদের দরকার নেই। বরঞ্চ এই অর্থ দিয়ে ডিএ বৃদ্ধির জন্য যারা আন্দোলন করছেন, সেই সমস্ত কর্মচারীদের পাশে দাঁড়ানো হোক। আর আজকে নিজের সেই অবস্থানে অনড় থেকে আন্দোলনকারীদের পাশেই দাঁড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এসব দেখেও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিকতা জাগ্রত না হয়, তাহলে সত্যিই আর কিছু বলার নেই। আগামী দিনে ভোটব্যাংকেই তার মোক্ষম জবাব পেয়ে যাবেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!