এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপিকে ফাঁসাতে অস্ত্রের কারখানা! এ কোন শাসন ব্যবস্থা মমতার? চাঞ্চল্য রাজ্যে!

বিজেপিকে ফাঁসাতে অস্ত্রের কারখানা! এ কোন শাসন ব্যবস্থা মমতার? চাঞ্চল্য রাজ্যে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যে নাকি আইনের শাসন চলছে! অথচ বিভিন্ন জায়গায় গুলি, বোমা, বারুদের বাড়বাড়ন্ত সামনে আসছে। সম্প্রতি দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগরে একটি বাড়ি থেকে অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও, হঠাৎ করে এই অস্ত্র কারখানার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো প্রশ্ন উঠছে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তাহলে কি এতদিন পুলিশ নীরবে ছিল! নাকি বিরোধীদের ফাঁসানোর জন্যই এই অস্ত্র কারখানার মজুদ করা হয়েছিল?

প্রসঙ্গত, এদিন সেই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যেখানে এই অস্ত্র কারখানার খবরের কথা তুলে ধরে সোচ্চার হন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। যেখানে তিনি লেখেন, “বাংলায় কি ভয়ংকর অবস্থায় বাস করছে মানুষ, পুলিশের নাকের ডগায় চলছে অস্ত্র কারখানা, এটা কি প্রশাসন বা পুলিশের মদত ছাড়া সম্ভব? কোথায় যেত এত অস্ত্র, তৃণমূল নেতাদের কাছে? নাকি ব্যবহৃত হতো বিজেপিকে ভুয়ো কেসে ফাঁসাতে, ধিক্কার..!!” অনেকে বলছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্য উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। কারণ এর আগেও দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়ার পর তৃণমূল নেতাদের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, বিজেপিই এই সমস্ত কিছু মজুত করেছে। অনেক জায়গায় প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেস দিয়ে তাদের ফাঁসি দেওয়ারও চেষ্টা হয়েছে। এক্ষেত্রেও কি সেই রকমই কিছু করার চেষ্টা হয়েছিল?

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল সরকারের আমলে দিকে দিকে অস্ত্রের ভান্ডার। বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের ওপর হামলা করবার জন্য এই সমস্ত অস্ত্র মজুদ করে রাখছে শাসক দল। অনেক ক্ষেত্রে আবার বিজেপিকে আটকাতে না পেরে তাদেরকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্যও এই সমস্ত বেআইনি অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে যে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এত শক্তিশালী, যে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে এত অস্ত্র ভান্ডার আসে কোথা থেকে? তাহলে কি পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে তিনি ব্যর্থ! পুলিশকে বিরোধী দের দিকে লেলিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু অস্ত্র কারখানাকে ভাঙতে পারেন না! ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী সপার্ষদ স্পেনে গিয়ে শিল্প আনতে ব্যস্ত। এখন রাজ্যের কোথায় কোন অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে, সেদিকে নজর দেওয়ার মতো সময় তার নেই। তবে যে রাজ্য সংস্কৃতির পিঠস্থান হিসেবে পরিচিত, সেখানে তৃণমূল সরকারের আমলে এই অব্যবস্থা কেন? বিগত বাম সরকারের আমলে এই অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়েই তো সব থেকে বেশি সরব হতেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে বাম আমলের সঙ্গে তার আমলের কি ফারাক? কোথায় গেল পরিবর্তন? যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে বাংলার মানুষ তৃণমূলকে দুহাত ভরে ভোট দিয়েছিল, সেই স্বপ্নকে কেন এভাবে ধূলিসাৎ করে দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সর্বনাশের মুখে ফেলে দিচ্ছে শাসক দল? সুকান্ত মজুমদারের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টের পর এই প্রশ্নই রীতিমতো তৃণমূলকে বিদ্ধ করতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!