বিজেপির “ভয়ে” কাঁপছে ফেসবুকও! মার্কিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিস্ফোরক রিপোর্ট আন্তর্জাতিক জাতীয় বিজেপি রাজনীতি August 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতবর্ষের মাটিতে 2014 সালের পর 2019 সালে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে যতই অভিযোগ করুক না কেন, তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিঃসন্দেহে বিরোধীদের তটস্থ করে দেয়। এবার ভারতের শাসক দল বিজেপিকে চটাতে রীতিমত ভয় পেতে শুরু করেছে মার্ক জুকারবাগের সংস্থা ফেসবুক। সূত্রের খবর, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ রোধ আইন প্রয়োগে বাধা দিয়েছিলেন ফেসবুকে পাবলিক পলিসি এক্সিকিউটিভ আঁখি দাস। যেখানে তিনি কর্মীদের বলেছিলেন, বিজেপি নেতাদের আইনভঙ্গকারী হিসেবে শাস্তি দিলে ভারতে ফেসবুকের ব্যবসায়িক ক্ষতি হতে পারে। অর্থাৎ বিজেপির বিরুদ্ধে কোনরূপ আক্রমণ শানালে তাদের যে ভারতে ব্যবসার ক্ষেত্রে লস হবে এবং সেদিকটিকে তুলে ধরে তারা এখন বিজেপির বিরুদ্ধে তেমন ভাবে কিছু করতে চাইছে না, তা এই প্রতিবেদনের থেকেই পরিষ্কার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে আরও একটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যার মাধ্যমে জানা যায়, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসায় মদত দেওয়ায় সম্প্রতি ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন তেলেঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিংহ। আর তারপরেই সেই টি রাজাকে নিষিদ্ধ করার জন্য ফেসবুকের কর্মীরা সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু আখি দাসের হস্তক্ষেপেই সেই বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই ভারতে তাদের মন্দার বাজারে আনতে চায় না। আর তাই বিজেপি নেতারা যতই যে কথা বলুন না কেন, তাদের বিরুদ্ধে এখনই তেমন ভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইছে না ফেসবুক। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, এই আঁখি দাসের বোন রেশমি দাস জেএনইউয়ে বিজেপির ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। তাই আখি দাস বিজেপিকে চটাতে চাইছেন না। যার ফলে এই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এক নিয়ম হলেও, কেন বিজেপিকে এত ছাড় দেওয়া হচ্ছে! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। শুধুমাত্র ব্যবসার দিকটি দেখে কেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই রকম সিদ্ধান্ত নেবেন! এক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা অনেকটাই লঙ্ঘিত হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে ফেসবুকের মুখপাত্র বলেন, “হিংসায় উস্কানিমূলক মন্তব্য বা বিদ্বেষ করলে ফেসবুক তা নিষিদ্ধ বলে গণ্য করে। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দল নিরপেক্ষ এই সংস্থা বিশ্ব জুড়ে এই কাজ করে। যদিও এক্ষেত্রে আরও উন্নতির জায়গা রয়েছে। নিষিদ্ধ করার পরে রাজনৈতিক পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন আঁখি দাস। তবে সংস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি একাই নির্ণায়ক ব্যক্তি নন।” এদিকে এই বিষয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে শশী থারুর প্রত্যেকেই ফেসবুকের জবাবদিহি চেয়েছেন। সব মিলিয়ে ব্যবসায় মন্দা হওয়ার জন্যই কি বিজেপি নেতাদের ক্ষেত্রে এত নমনীয় মনোভাব পোষণ করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ? কিন্তু যদি এমনটা হয়, তাহলে ফেসবুক সম্পর্কে মানুষের মনে অন্য মনোভাব তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছে একাংশ। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -