এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিপন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের মন্দিরে আশ্রয় দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা

ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিপন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের মন্দিরে আশ্রয় দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের নানা স্থানে শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার আবহ। বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে, বেছে বেছে তাঁদের কর্মীদের মারধর ও হেনস্থা, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় নিজের প্রাণ বাঁচাতে বিজেপি কর্মীরা অন্যত্র চলে গেছেন। তাদেরকে ঘরে ফিরে আসতে হলে বিপুল অঙ্কের জরিমানা দিতে বাধ্য করছে তৃণমূল, এমন অভিযোগও বারবার উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ি জেলায় ভোটের পর ঘরছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিজেপি কর্মীদের এক মন্দিরে আশ্রয় দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে ১৩ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিজেপি কর্মী নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের এই আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় ও রাজ্য স্তরের বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। দলের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার পর সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন যে, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে জলপাইগুড়ি জেলাতে বহু বিজেপি সমর্থক ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন। তৃণমূলের চাপে বহু মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও বিজেপি করবার কারণে ঘরছাড়া হয়ে মন্দিরে রয়েছেন ১৩ জন মানুষ। প্রাণের ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদেরকে নামাজ পড়তে দেয়া হচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেছেন, এ বিষয়ে পুলিশ সুপারকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় শাড়ি পড়ে মুসলমানি সরকার চালাতে দেয়া হবে না। তাঁর এই বক্তব্যের পাল্টা জবাবে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানালেন যে, বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর করা মন্তব্যের তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চান না। বিজেপি যেখানে জয়লাভ করেছে, সেখানে তৃণমূল বিজেপির উপর অত্যাচার করছে, এই সমস্ত অভিযোগ সাজানো।

তবে, জলপাইগুড়িতে যেভাবে রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিপন্ন মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, তা এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়েছে। বহু মানুষ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা বলে পরিচিত। এই জেলাতে একই দিনে দশমীর বিসর্জনের শোভাযাত্রা ও মহররমে শোভাযাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হতে দেখা গেছে বহুবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!