এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাউল কায়দায় মুকুলকে আক্রমণ শুভেন্দুর, ভাবের ঘরের চোর কে? প্রশ্নে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি!

বাউল কায়দায় মুকুলকে আক্রমণ শুভেন্দুর, ভাবের ঘরের চোর কে? প্রশ্নে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নিজের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, তখন যোগদানের অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি কারণ হিসাবে মুকুল রায়ের অনুপ্রেরণাকেও তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু কথায় আছে, রাজনীতিতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। তাই 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচন শুভেন্দু অধিকারী থেকে গেলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে বিরোধী দলনেতা হিসেবে, আর মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তন ঘটল নিজের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে।

ব্যক্তিগতভাবে মুকুল রায়কে তেমন ভাবে আক্রমণ না করলেও রাজনৈতিকভাবে প্রতি পদে পদে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর এবার রীতিমত বাউলের তরজা গানের কায়দায় মুকুল রায় ভাবের ঘরে চুরি করেছে বলে অভিযোগ করে বসেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

বস্তুত, ইতিপূর্বে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি নিয়ে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করতে দেখা যায় শুভেন্দুবাবুকে। আর এবার পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মুকুল রায়ের নাম সামনে উঠে আসতেই মোক্ষম কায়দায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতাকে। বাংলার রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই পাবলিক একাউন্টস কমিটি বিরোধীদের দখলেই থাকা নিয়ম ছিল।

যদিও সাংবিধানিক ভাবে এই বিষয়ে সঠিক কোনো গাইডলাইন পাওয়া যায় না। কিন্তু সৌজন্যেগতভাবে বরাবরই এই কমিটি বিরোধীদের দখলেই থাকে। তাই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টি যে পিএসির চেয়ারম্যান তথা কমিটি নিজেদের দখলে রাখতে চাইবে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আর সেই মত করেই বিরোধী দল থেকে শাসক শিবিরে নাম লেখানো মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী দলনেতাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিধায়ক থাকলে তো মুকুল রায় পিএসির চেয়ারম্যান হবে। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ আর থাকবে না। এই নিয়ে আমি বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছি। বিধানসভার অধ্যক্ষ এই ব্যাপারে আমাকে শুনানিতে ডেকেছেন। তারপরে যদি কাজ না হয়, আদালতে যাব। ভাবের ঘরে বসে চুরি করছেন মুকুল রায়। এসব করে লাভ হবে না। মুকুল রায় ও তৃণমূল কংগ্রেস কালিদাসের মত কাজ করে চলেছে। আমরা আইনি লড়াই করছি। আমার লড়াইটা অনেক সহজ করে দিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল ভুল পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাতে আমার সুবিধাই হচ্ছে।” আর শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা নিজের অধিকার বুঝে নিতে কোনোরকম সমঝোতার রাস্তায় হাঁটবে না। তাই শুভেন্দুবাবুর পক্ষ থেকে “ভাবের ঘরের চোর” হিসেবে মুকুলবাবুকে অভিহিত করা হল।

শুভেন্দু অধিকারীর তরফ থেকে ইতিপূর্বেই অভিযোগ করা হয়েছে, বিগত দিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রধান বিরোধীদল অর্থাৎ বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে গটআপ করে বিধানসভা চালাতেন। কিন্তু এবার আর সেটা হবে না। বিরোধীদল সর্বশক্তি দিয়ে সরকারের ভুল কাজের বিরোধিতা করবে। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা যে অত্যন্ত বাস্তব, তা রীতিমত প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে বিরোধী দলনেতার একের পর এক পদক্ষেপে। এখন নন্দীগ্রামের বিধায়কের তৎপরতায় ভাবের ঘরের চুরি বন্ধ হয়, নাকি আলোচনার জেরে “ভাবের ঘরের চোর” আরও জাঁকিয়ে বসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!