এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মোদীর আত্মনির্ভর মন্ত্রের পাল্টা দিতে এবার বড়সড় ঘোষণা মমতার! বাংলার জন্য “আচ্ছে দিন”?

মোদীর আত্মনির্ভর মন্ত্রের পাল্টা দিতে এবার বড়সড় ঘোষণা মমতার! বাংলার জন্য “আচ্ছে দিন”?


কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই “আচ্ছে দিনের” শ্লোগান দিয়ে ব্যাপক প্রচার শুরু হয়েছিল গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে। মানুষ বিজেপির সেই শ্লোগানে বিশ্বাস করেছিল। তবে বিজেপির এই প্রচার যে ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়, সে কথা বারবার শোনা গেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীদের গলায়। তবে বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে গোটা দেশ এবং রাজ্যগুলোতে লকডাউন চলায় পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেদিক থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করতে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রাম এবং গরিবের কথা তুলে ধরে ঘরোয়া অর্থনীতি শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে আচ্ছে দিনের ঘোষণা বলেই তুলে ধরছেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। আর এবার কেন্দ্রের শাসক দলের প্রধান ব্যক্তি মঙ্গলবার এই ঘোষণা করার সাথে সাথেই সেই পথে হাঁটতে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

সূত্রের খবর, বুধবার রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে নবান্নে সমস্ত জেলার শাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে একটি আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে বেশকিছু বার্তা দিতে দেখা যায় তাকে। জানা গেছে, বাংলার আবাস যোজনায় 10 লক্ষ বাড়ি আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, প্রতিটি জেলার চরিত্র অনুযায়ী সেখানে কী কী কর্মসূচি নেওয়া যায় এবং কিভাবে গ্রামগুলোতে উন্নতি করা যায়, তার জন্য জেলাশাসকদের ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিনের ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিয়েছেন সড়ক ব্যবস্থার ওপর। পুজোর আগেই রাস্তার কাজ শেষ করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে 100 দিনের কাজ অনেকটাই ঢিলেমি পর্যায়ে চলছে। লকডাউনের কারণে তা আরও বিশবাঁও জলে চলে গেছে। তাই গ্রামীণ অর্থনীতি ব্যবস্থাকে সচল করতে সেই 100 দিনের কাজকেও সুচারুভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক্ষেত্রে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসছেন, তারা কিছুদিন সুস্থ হওয়ার পর তাদের দিয়েও যাতে সেই 100 দিনের কাজ করানো যায়, তার ব্যাপারে জেলাশাসকদের দেখতে বলেছেন তিনি। এছাড়া রেশন ব্যবস্থায় অনিয়ম যাতে না হয়, তার ব্যাপারে সকলকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকোপ আগামী দিনে বাড়তে পারে বলেও এদিনের বৈঠক থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাই সেই ব্যাপারেও যাতে নজর দেওয়া হয়, তার জন্য জেলা শাসকদের বার্তা দিতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের বৈঠকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে গ্রামীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করার বিষয়টি। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বক্তব্যে যেভাবে গ্রামীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করার কথা বলেছেন, ঠিক তার পরের দিনই ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের গ্রামগুলোতে আর্থিক মেরুদন্ড শক্তিশালী করার বার্তা দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, অর্থনীতির প্রথম পাঠ অনুযায়ীই, গ্রামের যদি উন্নতি না হয়, তাহলে শহরের উন্নতি হবে না। আর তাই এখন থেকেই গ্রামীণ এলাকায় রাস্তাঘাট করার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দিয়ে শহরের দিশা খুলে দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকডাউনের জেরে অনেকেই কাজ হারিয়ে, নিজের বাড়িতে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার জন্য তাঁদের জন্য ‘আচ্ছে দিন’ আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা কতটা সাফল্য পায় এবং জেলাগুলোর গ্রামগুলোতে এই কর্মসূচি রূপায়ণে কতটা সফল হয় অর্থনীতি, তার দিকেই নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!