এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > গলবস্ত্র হয়ে সভাপতিকে রোখার চেষ্টা, দলের ভাঙ্গন রুখতে মরিয়া চেষ্টা বিজেপির!

গলবস্ত্র হয়ে সভাপতিকে রোখার চেষ্টা, দলের ভাঙ্গন রুখতে মরিয়া চেষ্টা বিজেপির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  পরাজয়ের পর থেকেই ভাঙ্গন তৈরি হয়েছে বিজেপির। একের পর এক হেভিওয়েট নেতারা দলত্যাগ করতে শুরু করেছেন। বেসুরো নেতা-নেত্রীদের পরিমাণ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অশোক চক্রবর্তী তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তার চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। যার পরেই রীতিমত শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

অনেকেই বলছেন, অশোকবাবুর মত অভিজ্ঞ নেতা ইস্তফা দিয়ে বিজেপি ত্যাগ করার রাস্তা পরিষ্কার করে দিলেন। অর্থাৎ জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি জার্সি বদল করতে পারেন বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও বা এর পেছনে দলবদল করার মত কোনো কারণ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন অশোক চক্রবর্তী। তবে তিনি জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই তাকে বুঝিয়ে সমস্ত কিছু মিটিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন সেখানকার বিজেপির পর্যবেক্ষক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী।

আর বেশ কিছুদিন আগে জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠালেও এখনও পর্যন্ত রাজ্যের পক্ষ থেকে গৃহীত হল না অশোক চক্রবর্তীর ইস্তফা পত্র। যার ফলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, অর্থাৎ যেনতেন প্রকারেণ অশোকবাবু যাতে পদে থাকেন এবং তিনিই যাতে কাজ চালিয়ে যান, তার জন্যই বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তার ইস্তফা পত্র গ্রহণ করা হল না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সোমবারই রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অশোক চক্রবর্তী। যেখানে তার ইস্তফাপত্র পাঠানোর পেছনে অভিমান কাজ করছে বলে দাবি করেন একাংশ। আর তারপরেই অশোকবাবুর ইস্তফাপত্র রাজ্য নেতৃত্ব গ্রহণ করে কিনা, সেদিকে নজর ছিল সকলের। তবে এখনও পর্যন্ত অশোকবাবু তার পদত্যাগ পত্র রাজ্যের কাছে পাঠিয়ে দিলেও তা রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়নি। যার ফলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি অশোকবাবুর মত অভিজ্ঞ নেতাকে ধরে রাখার চেষ্টা শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি!

একের পর এক নেতার দলত্যাগে এখন যথেষ্ট ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই অশোকবাবু জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে চিঠি পাঠালেও তা গ্রহণ করতে নারাজ রাজ্য নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে অশোকবাবুর সঙ্গে আলোচনা করে তিনি যাতে কাজ করেন এবং পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত না নেন, তার জন্যই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এই কৌশলী মনোভাব বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেন এখনও পর্যন্ত অশোক চক্রবর্তীর ইস্তফা পত্র গ্রহণ করা হল না? এদিন এই প্রসঙ্গে নদিয়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি স্বপন দাম বলেন, “অশোক চক্রবর্তী ইস্তফা দিয়েছেন। রাজ্য অফিস থেকে এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনো রকম কিছু জানায়নি। এখন রাজ্য অফিস অশোক চক্রবর্তীর ইস্তফা পত্র গ্রহণ করবে কি করবে না, তা নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করবে। তবে পদ থেকে চলে গেলে দলের তো কিছুটা হলেও ক্ষতি হবে। রাজ্য নেতৃত্ব যেভাবে নির্দেশ দেবে, আমরা সেভাবেই চলব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা এই ব্যাপারে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দীপক ঘোষ বলেন, “সাংসদ জগন্নাথ সরকার ফাইফরমাশ ঠিকমত পালন করছিলেন না অশোক চক্রবর্তী। তাই তিনি তার সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অন্ত নেই। ওদের কোনো ভরসা নেই। মানুষ বুঝে গিয়েছে।” অর্থাৎ গোটা বিষয়টি এখন যে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস, তা বলাই যায়। নির্বাচনের আগে অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল।

তবে গেরুয়া শিবির তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারার পরই ধীরে ধীরে ভারতীয় জনতা পার্টি ভাঙতে শুরু করে। মুকুল রায়ের মত হেভিওয়েট শীর্ষনেতা বিজেপি ছেড়ে যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর তারপরেই উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের অনেক বিজেপির জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নেতা, নেত্রী গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরের নাম লেখাতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়।

আর তার মাঝেই অশোক চক্রবর্তীর মত নদীয়া জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতা ইস্তফাপত্র রাজ্যের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার পরেই রীতিমত শোরগোল পড়ে যায়। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের পক্ষ থেকে ইস্তফা পত্র গ্রহণ করা হয়নি। যার ফলে তাকে রেখে দিয়ে যাতে দলে ভাঙন আটকানো যায়, তার চেষ্টা করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!