প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনার প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই দেশজুড়ে এসে পড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এবং এই দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে সরকার। বিভিন্ন রাজ্য পরিস্থিতি সামাল দিতে লকডাউন শুরু করে দেয়। ফলস্বরূপ কিছুটা হলেও ধীরে ধীরে দৈনিক সংক্রমণের হার এবং মৃতের সংখ্যা কমছে। পাশাপাশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,  বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হওয়া লকডাউনের ফলেই এই পরিস্থিতি এসেছে। তবে তা নিয়ে বিতর্ক থাকছে। তবে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ক্রমশঃ উদ্বেগ বাড়ছে।

অন্যদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অবশেষে সামাল দেওয়া গেলেও বিপদ কিন্তু এখনো কাটানো যাচ্ছেনা। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সাবধান করে দিয়েছে। বেশ কিছু দেশে ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে শুরু করে দিয়েছে লকডাউন প্রস্তুতি। একইভাবে ভয়ানক করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে ভারত সরকারও প্রস্তুতি নিচ্ছে এবার আগেভাগেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলবে শিশু ও কিশোরদের ওপর।

দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রজাতি ব্যাপকভাবে ক্ষমতা দেখিয়েছে। এবার তৃতীয় ঢেউয়ের হাত ধরে করোনার কোন প্রজাতির ভাইরাস আসতে চলেছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ তুঙ্গে। অন্যদিকে ভারতীয় নীতি আয়োগের সদস্য বি কে সারস্বত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রয়োজন প্রতিষেধক। মনে করা হচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে।

অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, সঠিক সময়ে লকডাউন ডেকে করোনার দ্বিতীয় পর্যায় কিছুটা সামাল দেওয়া গেলেও গত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে যেভাবে মানুষ ভুল করেছে তারই মাশুল দিতে হয়েছে সবাইকে। করোনার তৃতীয় ঢেউ আটকাতে সাবধানতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত করোনার তৃতীয় ঢেউ এর আগে দেশজুড়ে প্রত্যেককে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটাই এখন দেখার।