এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিদেশ থেকেও শুভেন্দু আতঙ্কে অতিষ্ঠ মমতা! ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছে তৃনমূল সরকার!

বিদেশ থেকেও শুভেন্দু আতঙ্কে অতিষ্ঠ মমতা! ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছে তৃনমূল সরকার!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হওয়ার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল নেত্রীর সেই আতঙ্কের নাম শুভেন্দু অধিকারী। যেভাবে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তৃণমূলকে চাপে ফেলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তাতে বিদেশে গিয়েও এখন শান্তি পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নাকি শিল্প আনতে বিদেশে গিয়েছেন! আর তার জায়গায় রাজ্য পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিবকে। তবে সেই স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েও তার দেখা পেলেন না শুভেন্দু অধিকারী। তার অভিযোগ, বিদেশ থেকেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে তিনি যখন যাবেন, তার আগে নবান্ন থেকে পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে তিনি চলে গিয়েছেন। তাই তার সঙ্গে দেখা করে মানুষের দাবি তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। আর বিরোধী দলনেতার তরফে এই ভয়ংকর তথ্য ফাঁস হওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিদেশে গিয়েও শুভেন্দু অধিকারীর আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

প্রসঙ্গত, রাজ্যের ডেঙ্গি এবং রাস্তার দুরাবস্থা নিয়ে অ্যাক্টিং চিফ মিনিস্টারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই মতো তার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে। কিন্তু তাকে সময় দেওয়া হলেও শেষ মুহূর্তে চারটার আগেই নবান্ন থেকে বেরিয়ে যান স্বরাষ্ট্র সচিব। পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র সচিবের সচিবালয়ের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতার সচিবালয়কে জানানো হয় যে, সম্মানীয় স্বরাষ্ট্রসচিব নবান্ন থেকে বেড়িয়ে গিয়েছেন। আর সেই বিষয় নিয়েই ভয়ংকর অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী যাকে রাজ্য পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই স্বরাষ্ট্রসচিব বিদেশে মুখ্য সচিবের কাছে এই বার্তাটা পৌঁছে দিয়েছিলেন। আর তখনই বিদেশ থেকে নির্দেশে এসেছে যে, তুমি নবান্ন থেকে পালিয়ে যাও। দেখা করার দরকার নেই। সেই কারণেই তিনি নির্ধারিত সময়ের আগে পালিয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ বিরোধী দলনেতা মানুষের দাবি নিয়ে একজন প্রশাসনিক কর্তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও, সেই দেখা করার ক্ষমতা নেই রাজ্যের? আর এরাই বলে, তারা নাকি গোটা দেশে সেরার সেরা! এই তো উন্নতি করেছে তৃনমূল সরকার!

বিরোধীদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী তো ক্ষমতা দখল করতে নবান্নে যেতে চাননি। মুখ্যমন্ত্রী একেই তো কোনো মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিতে ভয় পান। যার কারণে এবার একজন প্রশাসনিক কর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে তিনি বিদেশের শিল্প আনার স্বপ্ন দেখতে গিয়েছেন তবে যে প্রশাসনিক কর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, তার কানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা হয়তো ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছেন যে, কোনোমতেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করা যাবে না। তাই মানুষের দাবি নিয়ে যখন শুভেন্দু অধিকারী স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই তার আগে নবান্ন থেকে রীতিমত পালাতে বাধ্য হলেন সেই স্বরাষ্ট্র সচিব।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিমুহূর্তে টাইট দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর যাই হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিটি বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সেটিং করে নিয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী অন্য জিনিস। তিনি অন্য ধাতুতে তৈরি। সেটা এতদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন। তাই বিদেশে গিয়েও সেই শুভেন্দু অধিকারীর আতঙ্ক তাকে এমন ভাবে গ্রাস করেছে যে, তিনি নবান্নে শুভেন্দু অধিকারী যাত্রাকেও সহ্য করতে পারলেন না। দেখা করতে দিতে চাইলেন না স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গেও। অনেকে রসিকতা করে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয় যে, স্বরাষ্ট্রসচিব শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করলে তিনিও বিজেপি হয়ে যেতে পারেন। তাই আতঙ্কে পড়েই মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের পদক্ষেপ। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!