করোনা আবহে সমস্যা বাড়াচ্ছে পাইলস? খাদ্যাভাসের সামান্য রদবদলেই কিন্তু হতে পারে সমস্যার সমাধান অন্যান্য শরীর-স্বাস্থ্য September 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে মানুষদের মধ্যে যে সমস্ত শারীরিক সমস্যা দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। বাস্তব জীবনে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, এক্সেসাইজের অভাব এই সমস্ত কিছুর কারণে অর্শ হতে পারে। তা ছাড়াও আপনি যে খাবার খাচ্ছেন সে খাবারে কতটা ফাইবার রয়েছে তাও কিন্তু ঠিক করে দেয় আপনার পরবর্তীকালে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে কিনা। তবে ডাক্তারের ভাষায় এটিকে হেমোরয়েড বলা হয়ে থাকে। তবে যদি সমস্যার প্রথম দিকে সতর্ক হওয়া যায়, তবে এই সমস্যা থেকে অনেক ক্ষেত্রেই সমাধান পাওয়া সম্ভব হয়। তা না হলে পরবর্তীকালে অস্ত্রপ্রচার পর্যন্ত করার প্রবণতা তৈরি হতে পারে বলে জানা যায়। তবে ডাক্তাররা অর্শকে চারটি স্তরে ভাগ করেছেন। প্রথম স্তর- এখানে মলদ্বারের আস্তরণের ভিতরে সাধারণত ছোট ছোট প্রদাহ থাকে। প্রথমে তাদেরকে দেখা যায় না। দ্বিতীয় স্তর- দ্বিতীয় স্তরে পাইলসগুলির আকার আগের চেয়ে বড় হয়। তবে এই স্তরেও সেগুলি মলদ্বারের ভিতরে থাকে। তৃতীয় স্তর- এই স্তরে এগুলি অর্শরোগ হিসাবে পরিচিত হয় এবং মলদ্বারের বাইরে বেরিয়ে আসে। ব্যক্তি মলদ্বার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এগুলিকে অনুভব করতে পারে। চতুর্থ স্তর- এই স্তরে চিকিত্সার প্রয়োজন না হলেও এগুলি বড় হয়ে এবং মলদ্বারের বাইরে আসে। অর্শের কারণ কিসেবে বলা যায় :- ১)দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য ২)দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ৩) ওজন বৃদ্ধি ৪)গর্ভাবস্থা ৫)স্টুল পাস করার সময় স্ট্রেনিং। তবে মনে করা হয়,পাইলাস বিকাশের প্রবণতা উত্তরাধিকার সূত্রেও প্রাপ্ত হতে পারে এবং বয়সের সাথে তা বাড়তে থাকে। তবে এর লক্ষণ বলতে গিয়ে বলা যায়, *মলদ্বারের চারপাশে একটি শক্ত, সম্ভবত বেদনাদায়ক পিণ্ড অনুভূত হতে পারে। * কখনো এতে জমাট রক্ত থাকতে পারে। * অনেকসময় মলদ্বারের চারপাশের অংশে চুলকানি, লাল রেস এবং ঘা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে খাবার সংক্রান্ত কিছু স্বাভাবিক নিয়ম মানলে সহজেই এই রোগ দূর করা যাবে বলে মনে করেন ডাক্তাররা। সে ক্ষেত্রে, দিনে ৩–৩.৫ লিটার জল খেতে হবে। যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। অনেক সময় কম জল খাওয়া থেকে ডিহাইড্রেশনের ফলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যেতে পারে।এছাড়া রোজকার ডায়েটে অন্তত পাঁচ রকমের শাক সব্জি রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে আলু-পেঁয়াজ ছাড়া সময়ের সব রকমের সব্জি খাওয়াই বাঞ্ছনীয়। এছাড়া ঢ্যাঁড়শ খেলেও কনস্টিপেশন কম হয় বলেই মনে করেন ডাক্তাররা। শাকসবজির মধ্যে থেকে, পালং শাক, নটে শাকের মত সময়ের শাক খাওয়া উচিত।এছাড়া কুমড়ো, লাউ, পটল-সহ সময়ের সব্জিও খেতে হবে। খোসা সমেত সব্জি খাওয়াই ভালো বলে মনে করেন অনেকে। এছাড়া ফলের মধ্যেও খোসা সমেত শসা খাওয়া উপকারী। সেই সঙ্গে কলা, পেয়ারা, লেবু, আম, জাম-সহ ফাইবার যুক্ত ফল নিয়ম করে দিনে ৩-৪টি খাওয়া উচিত। তবে সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। বাড়তি ওজন অনেক সময় অর্শের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ভারী জিনিস তোলা, ধূমপানের অভ্যাস, মদ্যপানের অভ্যাস সমস্যা বাড়ায়। সেই সঙ্গে বেশি ভাজা জিনিস খাওয়া যাবে না। কাবাবের মতো ঝলসানো মাংস বা ময়দার খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে। চাউমিন মোমো ময়দায় তৈরি, তাই এই ধরনের খাবার বাদ দিতে হবে। এছাড়া কেক, বিস্কুটের বদলে খই, ওটস খেলে ভালো হয় বলেই মনে করা হয়। আপনার মতামত জানান -