এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল, তীব্র অস্বস্তিতে শাসক দল

তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল, তীব্র অস্বস্তিতে শাসক দল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতবছর আম্ফান ঝড়ের সময় ত্রাণের দ্রব্য বিতরণ নিয়ে বারবার নানা অনিয়ম, অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর স্বচ্ছতার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু,এবার যশের ত্রাণের জন্য আনা ১০ বস্তা সরকারি চাল পাওয়া গেল এক তৃণমূল সদস্যের বাড়িতে। যে ঘটনায় শুরু হলো ব্যাপক চাপানউতোর। তীব্র অস্বস্তিতে পরে গেলো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

গত শুক্রবার রাতে খড়গপুর ২ ব্লকের চাঙ্গুয়াল এলাকায় জনৈক তৃনমূল সদস্য লক্ষণ ধাড়ার বাড়িতে পাওয়া গেল বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক তাঁর বাড়িতে পৌঁছান। সেখান থেকে উদ্ধার করেন ১০ বস্তা সরকারি চাল। তাঁকে ঘিরে বিভিন্ন মানুষ বিক্ষোভ দেখান। জানা গেছে, যশের ত্রাণের জন্য চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে প্রচুর চালের বস্তা রাখা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার সেখান থেকে কয়েকজন তৃণমূল নেতা ১০ টি চালের বস্তা নিয়ে যান। পরবর্তীতে এই বস্তাগুলো রাখা হয় তৃণমূল কর্মী লক্ষণ ধাড়ার বাড়িতে। লক্ষণ ধাড়ার বাড়িতে ১০ বস্তা চাল কি করে তৃণমূল নেতারা রেখে গেলেন? তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে বিডিও সন্দ্বীপ মিশ্র জানালেন, এ বিষয়ে অভিযোগ আসার পর তিনি প্রতিনিধি পাঠিয়ে ত্রাণের চাল উদ্ধার করেছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এই চাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনাটিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল দলের পক্ষ থেকেও সমর্থন করা হয়নি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সীতা টুডু এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, গত বৃহস্পতিবার কয়েকজন কর্মী পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছিলেন। সেদিন দলের বেশ কিছু নেতা ত্রাণ দেবেন বলে অফিসের কর্মীদের চাপ দিয়ে চালের বস্তা নিয়েছিলেন। তিনি বুঝতে পারছেন এটা অন্যায় হয়েছে। দল ও প্রশাসন তদন্ত করে এই নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক, এমনটাই চাইছেন তিনি।

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্য চন্দন চক্রবর্তী জানালেন, তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন কয়েকজন নেতা লক্ষণ ধাড়ার বাড়িতে এসে চালের বস্তাগুলো রেখে গেছেন। এর তদন্ত করার প্রয়োজন আছে। অন্যদিকে, সেরাতেই খড়্গপুরের খরিদা থেকে রেশনের চাল, গম নিয়ে যাওয়া একটি পিকআপভ্যানকে আটক করল পুলিশ। এই সমস্ত ছিল ব্যবসায়ী মহেশ কেসরওয়ানির। এই রেশন সামগ্রী গুলি নিজের গুদাম থেকে অন্য কোথাও তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন। গতকাল খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের পরিদর্শক সৌম্য চট্টোপাধ্যায় এই ব্যবসায়ীর গুদামে তল্লাশি করেছেন। যেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ চাল, গম, আটা পাওয়া গেছে। ৩৫ বস্তা চাল, ৫০ বস্তা আটা, ৮ বস্তা গম উদ্ধার করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সৌম্য চট্টোপাধ্যায় জানালেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এই ব্যবসায়ীর গুদামে তল্লাশি করে চাল, গম ও আটার বস্তা পাওয়া গেছে। তবে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্যবসায়ী মহেশ কেসরওয়ানি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, রেশনের বাড়তি চাল, গম, আটা মানুষ তাকে বিক্রি করেন। তিনি কম দামে সেগুলো বাজারে বিক্রি করে দেন। বাজার থেকে তিনি যে বস্তাগুলি কিনে এনেছিলেন, সেগুলিতে সরকারি ছাপ দেওয়া ছিল। তিনি বুঝতে পারেন নি যে, তিনি কোনো অন্যায় করেছেন। এভাবে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ত্রাণের চাল ও ব্যবসায়ীর গুদামে রেশন সামগ্রী কিভাবে পৌঁছালো? তা নিয়ে উঠে এসেছে নানা প্রশ্ন। ঘটনাটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মানুষ। দুটি ঘটনারই তদন্ত করছে পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!