এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মধুচক্রের অভিযোগ তুলে পোস্টার, তৃণমূলের ফেরার রাস্তা বন্ধ হেভিওয়েট প্রাক্তন বিধায়কের!

মধুচক্রের অভিযোগ তুলে পোস্টার, তৃণমূলের ফেরার রাস্তা বন্ধ হেভিওয়েট প্রাক্তন বিধায়কের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হুগলির উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল দিল্লি পাড়ি দেন। যেখানে অমিত শাহের হাত থেকে গেরুয়া শিবিরের পতাকা তুলে নিতে দেখা যায় তাকে। পরবর্তীতে বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা হলেও, তিনি জয়লাভ করতে পারেনি। যেখানে জয়লাভ করেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক।

এদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে, এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলেও, শেষ পর্যন্ত তারা সেই লক্ষ্যেও পৌঁছতে পারেনি। 77 টি আসন পেয়ে কোনোরকমে রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা অর্জন করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই পরিস্থিতিতে ভোটে ভরাডুবি হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের যে সমস্ত নেতা এবং বিধায়করা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন, তারা আবার তৃণমূলে ফিরে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

সরাসরি তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে আসবেন এমনটা না জানালেও, কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য করেছেন‌। যেখানে তার মাতৃবিয়োগ হলেও, বিজেপির কেউ খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তার খোঁজ নেওয়া হয়েছে, এমনটাও জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রাক্তন সতীর্থ। আর তারপর থেকেই তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়।

এমনকি সম্প্রতি বিজেপি নেতা মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার পর প্রবীর ঘোষালের তৃণমূলের ফেরার পথ প্রশস্ত হতে পারে বলে দাবি করতে শুরু করেন সকলে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সেই প্রবীর ঘোষাল যাতে তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত না হন, তার জন্য আবেদন জানিয়ে তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে পোস্টার দিতে দেখা গেল একাংশকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন হুগলির কোন্নগরে একটি পোস্টার চোখে পড়ে। যেখানে লেখা রয়েছে, “মধুচক্রের নায়ক প্রবীর ঘোষালকে তৃণমূলে নেওয়া যাবে না।” প্রথমে এই পোস্টার তৃণমূলের একাংশ দিয়েছে বলে মনে করা হলেও, শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, কোন্নগর বাসীর পক্ষ থেকে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তবে কোন্নগর এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে বলে লেখা থাকলেও, এর পেছনে যে তৃণমূলের একটা অংশ জড়িত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কেননা বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তারা যাতে আর দলে ফিরে না আসেন এবং তাদের যাতে গ্রহণ করা না হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই নীচুতলার তৃণমূল কর্মীরা আবেদন করতে শুরু করেছেন। আর তার মাঝেই বিজেপিতে যাওয়া প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ তোলায় তৃণমূলের আসার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার পেছনে যে তৃণমূলের একাংশের আপত্তি রয়েছে এবং সেই কারণেই যে এই পোস্টার, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

স্বাভাবিকভাবেই এই গোটা ঘটনায় যথেষ্ট চাপে পড়ে গেলেন প্রবীর ঘোষাল। এখনও পর্যন্ত তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে কোনো ইচ্ছা পোষণ করেননি। তবে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যে তার দূরত্ব বাড়ছে, তা পরিষ্কার। তবে প্রবীর ঘোষালকে তৃণমূল কংগ্রেস গ্রহণ করবে কি করবে না এবং তিনি তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারে আবেদন করবেন কিনা, সেটা পরের বিষয়।  তবে গন্ধ পেয়েই তাকে যাতে দলে নেওয়া না হয়, তার জন্য আপত্তি জানিয়ে যেভাবে প্রবীরবাবুর বিরুদ্ধে মধুচক্রের অভিযোগ জানিয়ে সরব হল একাংশ, তাতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন এই বিজেপি নেতা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!