বিজেপি ছাড়তে চলেছেন দুবারের সংসদ ও বিজেপি সভাপতি হিসাবে চর্চিত বাঙালি শীর্ষনেতা? কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য July 17, 2018 পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। আর তারফলে বঙ্গ শিবিরের নেতারা তো বটেই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের মত শীর্ষনেতারা আশা করছেন ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় পদ্মশিবির দুর্দান্ত ফলাফল করতে চলেছে। আর সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী – দুজনেই বাংলায় জনসভা করে গেছেন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের সেই লক্ষ্যে চলার পথেই এবার বড়সড় ধাক্কা এল একদম হঠাৎ করে। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে রাজনৈতিক মহলে চূড়ান্ত জল্পনা ছড়িয়েছে বিজেপির দু-দুবারের রাজ্যসভার সাংসদ ও অন্যতম শীর্ষ বঙ্গ নেতা নাকি দল ছাড়তে চলেছেন। এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, একসময় বাংলার রাজ্য সভাপতি পদে বিবেচিত হওয়া ও রাজ্যের প্রাক্তন পর্যবেক্ষক চন্দন মিত্র এবার দল ছাড়তে চলেছেন। এমনকি তাঁর পদত্যাগপত্র ইতিমধ্যেই নাকি অমিত শাহের কাছে পৌঁছে গেছে বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে। এমনিতেই, চন্দনবাবু লালকৃষ্ণ আডবাণীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। ফলে জল্পনা ছিল যে তিনি কোনোদিনই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের ঘনিষ্ঠবৃত্তে ঢুকতে পারেননি। এমনকি ২০১৬ সালে তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় তাঁকে আর রাজ্যসভাতেও পাঠায়নি গেরুয়া শিবির। এর পরেই সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কৈরানায় উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর তিনি দলের ‘স্ট্র্যাটেজি’ নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন, যা রীতিমত অস্বস্তি বাড়িয়েছিল গেরুয়া শিবিরের। সূত্রের খবর, দলের শীর্ষনেতৃত্ত্বের সঙ্গে তিক্ততা তখনই চরমে ওঠে। আর এরপরেই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় যে তাঁর দল ছাড়ার আবেদন পৌঁছে গেছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে। কিন্তু তা আদৌ পৌঁছেছে কিনা বা পৌঁছালেও গৃহীত হয়েছে কিনা তা নিয়ে এখনো কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি গেরুয়া শিবিরের তরফে। অন্যদিকে চন্দনবাবু নিজেও এই নিয়ে কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়া এখনো জানাননি। ফলে সমগ্র ব্যাপারটা নিয়েই চরম ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -