প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সহ দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বকে, বাদ গেলেন শুধু বামেরা। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো আম উপহার পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রমূখরা। সকলের বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে দিলেন আম, কিন্তু আম প্রাপ্তির তালিকা থেকে একেবারে বাদ রইলেন বাম নের্তৃত্ব। কোন সিপিএম বা বামপন্থী নেতার কাছে পৌঁছলো না মুখ্যমন্ত্রীর এই উপহার।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এর মধ্যে কোন রাজনীতির ব্যাপার নেই, বিষয়টি সম্পূর্ণ সৌজন্যমূলক। রাজনৈতিক মঞ্চে যথেষ্ট রকম বিবাদ-বিসম্বাদ থাকলেও, মুখ্যমন্ত্রী হিংসার রাজনীতির পরিবর্তে সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে থাকেন। এ কারণে পাঠানো হলো এই উপহার। পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত তিন ধরনের আম উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও লক্ষ্মণভোগ।

এমনিতেই আম উৎপাদনে দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ। আম উৎপাদনে ৮ ম স্থান অধিকার করে এই রাজ্য। এখানকার প্রচুর আম অন্যান্য রাজ্যে এমনকি বিদেশেও রপ্তানি করা হয়ে থাকে। একাধিক বিখ্যাত আম এই রাজ্যে উৎপাদিত হয়। এবার আম দিয়েই সৌজন্যের উপহার পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একবার জানিয়েছিলেন যে, তিনি আম খেতে ভালোবাসেন। বাংলা থেকে প্রতিবছর তাঁকে আম উপহার পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে মিষ্টি ও পাঞ্জাবিও উপহার দেন তাঁকে।

এবার আবার এই উপহার পেলেন পেলেন প্রধানমন্ত্রী ও একাধিক নেতৃত্ব। তবে, বামেদের কেন উপহার থেকে বাদ রাখা হলো? তা এখনো জানা যায়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক কারণে বামেদের সঙ্গে দীর্ঘ বিরোধ মুখ্যমন্ত্রীর। দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে এসেছেন তিনি রাজ্যের ক্ষমতায়। এখনো হয়তো বাম নেতৃত্বের প্রতি বিরাগ পোষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী, তাই এই উপহার থেকে বাদ রাখা হয়েছে বাম শিবিরকে।