এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > খোলা বাজারের থেকে বেশি দাম সরকারি সহায়ক মূল্যের স্টলে, বিস্ফোরক অভিযোগ

খোলা বাজারের থেকে বেশি দাম সরকারি সহায়ক মূল্যের স্টলে, বিস্ফোরক অভিযোগ


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগেই রাজ্যে আলুর দাম হয়ে গিয়েছিল আকাশছোঁয়া। 40 টাকা থেকে শুরু 45-50 পর্যন্ত খোলা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছিল। সাধারণ মানুষ পড়ে গিয়েছিলেন আতান্তরে। সেই সময় রাজ্য সরকার শুরু করে সরকারি সহায়ক মূল্যের স্টল। যেখানে খোলাবাজারে যখন আলুর দাম হয়ে গিয়েছিল ঊর্ধ্বমুখী, তখন সহায়ক মূল্যে অনেকটাই কম দামে সাধারণ মানুষের হাতে আলু তুলে দেওয়া হচ্ছিল। সাধারণ খরিদ্দাররাও খোলা বাজারের থেকে সস্তায় আলু পাওয়ায় ভিড় জমিয়েছিল সরকারি স্টলে। কিন্তু এবার চিত্র পাল্টে গেছে।

এখন খোলা বাজারে আলুর দাম কমে গেছে সহায়ক মূল্যের স্টলের থেকে বহুগুণে। এই অবস্থায় দুর্বিপাকে পড়েছে সরকারি সহায়ক মূল্যের স্টলের বিক্রেতারা। জানা যাচ্ছে, খোলা বাজারে আলুর দাম কম হওয়ায় তিনদিন ধরে ভাতার কৃষক বাজারে সরকারি সহায়ক মূল্যের স্টলে কোন খরিদ্দার আসছেন না। আলুর দাম যখন বেড়ে গিয়েছিল, তখন ভাতার কৃষক বাজারে এই সহায়ক মূল্যের স্টলে কিন্তু প্রায় একমাস কম দামে আলু বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন খোলাবাজারে যেহেতু দাম কম, সরকারি সহায়ক মূল্যের দোকান থেকে আলু আর কিনতে যাচ্ছেন না ক্রেতারা।

এই কদিন আগেও ভাতার কিষাণ মান্ডিতে সবসময় সহায়ক মূল্যের কাউন্টারে আলুর যোগান যেত। রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যেতেন কর্মীরা যোগান দিতে। বর্তমানে সরকারিভাবে আলুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সরকারি স্টলে কেজি প্রতি কুড়ি টাকা। কিন্তু খোলাবাজারে বহু জায়গায় আলু পাওয়া যাচ্ছে 16 টাকা কেজি দরে। স্বাভাবিকভাবেই সরকারি সহায়ক মূল্য আর আলু কিনতে রাজি নন সাধারণ মানুষ। কৃষক বাজার এর দায়িত্বে থাকা শেখ হায়দার জানিয়েছেন, খোলা বাজারে আলুর দাম কমে যাওয়াতেই এবার কৃষক বাজার ফাঁকা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে ব্যাপারটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কানে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভাতারের স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, খোলাবাজারে যেহেতু আলুর দাম কম, সেহেতু এখানে বেছে আলু কেনা যাচ্ছে সস্তায়। প্রসঙ্গত, যখন খোলা বাজারে আলুর দাম 40 থেকে 45 টাকা ছিল, তখন ভাতারের সরকারি সহায়ক মূল্যের স্টলে আলু পাওয়া যাচ্ছিল 25 টাকায়। আর এখন উল্টো হয়ে গিয়েছে- সরকারি সহায়ক মূল্যে আলুর দর কুড়ি টাকা কেজি যেখানে, সেখানে ভাতার বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে 16 টাকায়।

খুব স্বাভাবিকভাবেই এবার সরকারি সহায়ক মূল্য স্টলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। খোলা বাজারের থেকে এখন কেন সরকারি সহায়ক মূল্যের স্টলে আলুর দাম বেশি তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খোলাবাজারে যদি দাম কম হয় সেখানেই ক্রেতারা যাবেন অন্য কোথাও যাবেন না। কারণ সাধারণ মানুষ সস্তার দিকেই যাবেন। কিন্তু সরকারি দোকানের দামের হার যদি এভাবে ঊর্ধ্বমুখী থাকে, তাহলে কিন্তু ভবিষ্যতে সহায়ক মূল্য স্টলে কোন ক্রেতা আর আসবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।

আপনার মতামত জানান -

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!