এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মুখেই বিক্ষোভ, ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে, সামাল দিতে পারবেন নেত্রী?

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মুখেই বিক্ষোভ, ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে, সামাল দিতে পারবেন নেত্রী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামীকাল মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা। এই আবহেই জলপাইগুড়ি জেলা ল্যান্ডলুজ়ার কমিটির সদস্যরা সর্বাত্মক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালেই নামতে চলেছেন তাঁরা সর্বাত্মক আন্দোলনে। জলপাইগুড়ি জেলা ল্যান্ডলুজ়ার কমিটির সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, ইতিপূর্বে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেও মুখমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পর্যন্ত দেয়া হয়নি তাদের। একাধিকবার তাঁরা অনশন করেছেন ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছেন, তবুও তাদের সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। এবার তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, সরকার যদি তাঁদের চাকরি দিতে না পারে, তবে তাঁদের জমি ফেরত দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময়েই সর্বাত্মক আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো কমিটির পক্ষ থেকে।

এর সঙ্গে সঙ্গেই চলছে জলপাইগুড়ি শহরের একাধিক কলেজের অস্থায়ী কর্মীদের অনশন কর্মসূচি। সেই সঙ্গে অনশন কর্মসূচী পালন করছেন অরণ্য বন্ধুরা। আবার অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকেরা। সবকিছু নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হল শহরে, মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার ঠিক পূর্বেই যা প্রবল অস্বস্তি বাড়ালো জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মুখেই তাঁদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধায় প্রবল অস্বস্তি বাড়ছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল শিবিরের। বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হলো তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।

জলপাইগুড়ি জেলায় দশটি কলেজের অস্থায়ী কর্মীরা চাকরির স্থায়ীকরণের দাবি নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন করছেন জলপাইগুড়ির আনন্দ চন্দ্র কলেজ। কলেজে চলছে তাদের অনশন কর্মসূচি। আবার, আগামীকাল মঙ্গলবার আনন্দ চন্দ্র কলেজ সংলগ্ন এবিপিসি মাঠে জনসভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল জলপাইগুড়ি সদর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলার তৃণমূল নেতা সোমনাথ পাল, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাপতি দুলাল দেবনাথ সকলেই অনশন কারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন ও তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অনশন তুলে নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জলপাইগুড়ি শহর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন যে, কলেজের অস্থায়ী কর্মী, অরন্য বন্ধুদের আন্দোলন ও সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকদের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি তুলে নিতে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁদের সকলের দাবি সনদ পৌঁছে দেয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়িজ সমিতির সভাপতি উত্তম সোম জানিয়েছেন যে, তাঁরা ৬২ দিন ধরে অনশন করছেন। এর সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত কলেজে চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি। তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে, তারা অনশন তুলে নেবেন কিনা? এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত করা হয়নি।

অন্যদিকে জলপাইগুড়ির অরণ্য ভবনের সামনে অরণ্য বন্ধুরা স্থায়ী চাকরির দাবি নিয়ে অনশন করছেন ৪২ দিন ধরে। গতকাল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের অনশন তুলে নেবার অনুরোধ করেছেন। অনশনকারীরা জানিয়েছেন যে, সকলের সঙ্গে কথা বলে অনশন তোলা হবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অন্যদিকে, শহরে জেলাশাসকের দপ্তরের সংলগ্ন এলাকাতে সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকরা স্থায়ী চাকরির দাবি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদেরকেও আন্দোলন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মাঝেই জলপাইগুড়ি জেলা ল্যান্ডলুজ়ার কমিটির সদস্যরা, একাধিক কলেজের অস্থায়ী কর্মীরা, অরণ্য বন্ধুরা ও সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকরা অবস্থান-বিক্ষোভ করে, অনশন করে ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালে। তাদের এই অবস্থান বিক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রী আদৌ সামাল দিতে পারবেন কিনা? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!