এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে নয়, এবার নরমে-গরমে অনুব্রতকে এক হাত নিলেন মুকুল রায়

শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে নয়, এবার নরমে-গরমে অনুব্রতকে এক হাত নিলেন মুকুল রায়


তৃণমূল কংগ্রেস দল সম্পর্কে আবারও প্রকাশ্যে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রাক্তন শীর্ষ নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এদিন মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্যে কৃষককল‍্যাণ সমাবেশের দিনে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে কামা দাগলেন ঘাস ফুল শিবিরে। প্রসঙ্গতঃ রথযাত্রার দিনে বীরভূম জেলায় উদ্বোধন হলো অত্যাধুনিক পরিষেবাযুক্ত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

দলের অনেক নেতার মতেই নব নির্মিত এই কার্যালয় কলকাতার বাইরে জেলায় এই যাবত কালে আর কোথাও নেই। তিন তলা এই কার্যালয়ে প্রতিটি ঘর শীততপ নিয়ন্ত্রিত , মেঝেতে বসানো হয়েছে দামি মার্বেল। ফলস সিলিং নির্মান হয়েছে। লিফট রয়েছে। জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং রাজ্যের দুই মন্ত্রীর জন্যের আলাদা আলদা কক্ষএর ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে থাকছে ইন্টারনেট পরিষেবা যুক্ত কম্পিউটার। গোটা দলীয় কার্যালয় ওয়াই ফাই ব্যবস্থার মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা যুক্ত। এছাড়াও রয়েছে য়েছে কনফারেন্সে হল, দলের যুব ও সংখ্যালঘু শাখার জন্য আলাদা ঘর। এই কার্যালয় তৈরীর জন্যে ব্যয় করা টাকার উৎস নিয়ে সওয়াল করলেন মুকুল রায়।

বীরভূম জেলায় শাসক দলের নব নির্মিত এই কার্যালয়কে হোটেলের সাথে তুলনা করে মুকুল রায়, বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ব্যঙ্গ করে বললেন, অনুব্রত বাবু এতই সাদাসিধে খোলা মনের মানষ যে কেউ উত্তেজিত না করলে সহজে উত্তেজিত হননা। সেই তিনি জেলায় ৬৫ টি রাইস মিলের মালিকানা কি করে পেলেন। যে গুলোর সাথে ২০১১ সাল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস দল রাজ্যের শাসন ক্ষমতা দখলের আগে অবধি তাঁর কোনো যোগাযোগই ছিলোনা। মুকুল বাবুর সংশয় যে এত অবিশ্বাস্য ঘটনা একই সাথে কী করে হওয়া সম্ভব !

একই সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত দিয়ে তিনি বললেন, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এখন পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। শাসক দলের হোর্ডিংএ কপি লেখার ধরণ বদল প্রসঙ্গে মুকুল বাবু বললেন, ” এখন আর বাংলার কোনও হোর্ডিংয়ে লেখা হয় না মমতা সততার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী আসছেন আর চারিদিকে মমতা হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে পড়েছেন, বলছেন, আমায় কিছু করবেন না। তাড়াতে গিয়েছিলাম চোর, ডেকে আনলাম ডাকাতকে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!