এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আত্মহত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়া ব্যক্তির শাস্তি হবে? না মানসিক চিকিৎসা হবে? কেন্দ্রের মতামত জানতে চাইলো সুপ্রিম কোর্ট।

আত্মহত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়া ব্যক্তির শাস্তি হবে? না মানসিক চিকিৎসা হবে? কেন্দ্রের মতামত জানতে চাইলো সুপ্রিম কোর্ট।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জীবনের নানা ব্যর্থতা, অসহায়তা থেকে আসা বিষাদ সিন্ধু থেকে মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নেয়। জীবনের উপর যখন সমস্ত মায়া-মমতা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়, তখনই জীবনকে নিঃশেষ করে দেবার চিন্তাভাবনা মনে আসে। চেষ্টা করা হয় আত্মহননের। কিন্তু আত্মহত্যার চেষ্টা করতে গিয়ে যদি কেউ ব্যর্থ হয়, তবে তার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে? আত্মহত্যার চেষ্টার জন্য কি তার উপর শাস্তির খাড়া নেমে আসবে? নাকি তাকে মানসিক চিকিৎসা করিয়ে পুনরায় সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা হবে? এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সুস্পষ্ট মতামত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে আত্মহত্যা সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী অধিকার সংক্রান্ত আইন নিয়ে কাজ করা এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে সুপ্রিমকোর্টে প্রশ্ন রাখা হয়েছে যে, কোন হিংস্র প্রাণীর খাঁচায় ঢুকে আত্মহত্যা করতে গিয়ে কোন মানুষ যদি ব্যর্থ হন। তবে তার জন্য কি পদক্ষেপ নেয়া হবে? এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনের মূল উদেশ্য হলো, হিংস্র প্রাণীর খাঁচায় ঢুকে আত্মহননের প্রবণতা রোধ করা। এজন্যই এ বিষয়ে নির্দিষ্ট আইন সম্পর্কে অবগত হওয়া।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার করা এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যম – এই তিন সদস্যের বেঞ্চ এ বিষয়ে দুটি পরস্পর বিরোধী আইনের উল্লেখ করলেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, আত্মহত্যার প্রচেষ্টা করে যদি কেউ ব্যর্থ হন তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার অন্যদিকে মানসিক স্বাস্থ্য আইনের ১১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, মানসিক বিপন্নতা থেকেই মানুষ আত্মহত্যায় সচেষ্ট হয়। তাই মানসিক চিকিৎসার মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তাকে সুস্থ জীবনে ফেরানোর উপায় করতে হবে।

এভাবে, একই বিষয়ের জন্য দুই পরস্পর বিরোধী আইন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। এর জবাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন যে, অত্যাধিক মানসিক চাপের মধ্যে পরেই কোন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়। আইনে এই বিষয়টিকেই বিশেষ ভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার এই জবাব সন্তুষ্ট করতে পারেনি তিন সদস্যের এই বেঞ্চকে । তাই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার দ্বারাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নোটিশ পাঠান হলো।

এ বিষয়ে নোটিস পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে চাওয়া হলো। এ বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত জানবার পরেই আত্মহত্যা সংক্রান্ত এই মামলা নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!