বাংলায় বিধানসভা ভোট কবে হলে বিজেপির লাভ, অভ্যন্তরীণ আলোচনায় মুকুল সমেত কেন্দ্রীয় নেতারা কলকাতা রাজ্য June 7, 2019 লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভালো ফলাফল হওয়ার পরই এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন 2021 এর আগেই হবে কি না তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে এখন তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। কেননা রাজ্যে বিজেপির এবার প্রবল উত্থানের পরই একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক যোগ দিতে শুরু করেছেন গেরুয়া শিবিরে। ফলে সেদিক থেকে বিধায়কদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেলে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ভেঙে যেতে পারে বলেও নানা মহল থেকে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ঠিক কি চাইছে গেরুয়া শিবির! সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কলকাতার মহারাষ্ট্র নিবাসে লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা নিয়ে বিজেপির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বৈঠকে তিনি বলেন, “লোকসভার ফলে বিজেপি 16 টি জেলায় এগিয়ে আছে। আর চারটি জেলায় 40 শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। তাই 2021 অবধি রাজ্য সরকার চলতে দেওয়া উচিত, নাকি বিধানসভা ভোট এগিয়ে আনা উচিত!” এদিকে মুকুল রায়ের এই প্রস্তাবে বৈঠকে উপস্থিত সিংহভাগ জেলা বিজেপির নেতারাই বিধানসভা ভোটে এগিয়ে আনার পক্ষে সমর্থন দেন। অন্যদিকে এখনই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হলে চমকপ্রদক ফল করা যাবে বলে জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রামলালও। কিন্তু কোনমতেই অগণতান্ত্রিকভাবে রাজ্যের তৃনমূল সরকারকে ভেঙে দেওয়া হবে না বলে বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অভিযোগ তুলছেন, সেই একই অভিযোগে যদি তারা দুষ্ট হয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ভেঙে দেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সহানুভূতি আদায় করতে পারে। আর তাই তো এখন সেই রাস্তায় হাঁটতে নারাজ গেরুয়া শিবিরের অনেকেই। এদিকে রাজ্যের 58 হাজার বুথে বিজেপির সংগঠন থাকলেও বাকি 20 হাজার বুথে অবিলম্বে সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে বলে এদিনের বৈঠকে জানিয়ে দেন দলের সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ। অন্যদিকে ফলাফল প্রকাশের পর সন্দেশখালি এবং ডায়মন্ডহারবারে যে ভাবে হিংসাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর এবং সৌমিত্র খাঁকে সন্দেশখালিতে, আর লকেট চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ সরকার এবং জ্যোতির্ময় মাহাতোকে ডায়মন্ডহারবারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এদিকে বিজেপি বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আনা নিয়ে নানা কথা বললেও এদিন তার পাল্টা গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই রাজ্যে বিজেপি যে ভোট পেয়েছে তা সিপিএমের পাইয়ে দেওয়া। জনসমর্থনে ভিত্তিতে তাই ওদের এই ভাবনা শুধু অলীকই নয়, অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক। তৃণমূল সরকার চালাতে যে রায় পেয়েছে তা কোনোভাবেই কমেনি। বরং এবার আমাদের অনেকটাই বেড়েছে।” তবে পার্থবাবু যাই বলুন না কেন, লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফল করার পর বিজেপির এবার যে নেক্সট টার্গেট বিধানসভা নির্বাচন সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -