বদল চেয়ে আবেদন করলেন শোভন, কি বদল করতে চাইলেন! জেনে নিন কলকাতা রাজ্য October 16, 2019 স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি এবং সহধর্মিণীর সাথে সম্পর্কের অব্যাহতি চেয়ে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলাই কাল হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বর্তমান বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক অবনতির জোরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাডবুকে চলে গিয়েছিলেন তিনি। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে পরবর্তীতে দীর্ঘদিনের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসর্গ ত্যাগ করে তৃণমূলের অত্যন্ত বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত ভারতীয় জনতা পার্টিতে নিজের বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে নাম লেখান শোভনবাবু। তবে তারপর সেভাবে তাঁকে আর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা না গেলেও ফের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে খবরের শিরোনামে উঠে আসতে শুরু করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। জানা যায়, স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছিল, সেই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাই এবার অন্য কোনো আদালতে সরানোর জন্য আবেদন করলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, গত 2017 সালের নভেম্বরে শোভনবাবু এবং রত্নাদেবীর এই বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা দায়ের হলে বর্তমানে তার প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছে। প্রায় ছয় মাস ধরে এই মামলার শুনানি চলেছিল। তবে দুই পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্যে চরম অসন্তুষ্ট হয়ে আলিপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক জেলা জজের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দেন যে, তিনি আর এই মামলাটি শুনবেন না। আর তারপরেই বিচারক পুষ্পল শতপথীর আদালতে এই মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর গত 3 অক্টোবর এই বিচারকের আদালত থেকে মামলাটি সরিয়ে যাতে অন্য কোনো বিচারকের কাছে পাঠানো যায়, তা নিয়ে একটি সাতপাতার আবেদন করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু হঠাৎ কেন তিনি এই বদল করার আবেদন জানাচ্ছেন! শোভনবাবু বলেন, “আমি আদালতে যে বক্তব্য পেশ করছি, তা ঠিকমতো নথিভুক্ত হচ্ছে না। তাই বিচারক বদল করা হোক।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে শোভনবাবুর সহধর্মিনী রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রতি শুনানিতে আমি এজলাসে হাজির থাকি। শোভনবাবু নিজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিজেই সঠিক যুক্তি দিতে পারছেন না। হেরে যাওয়ার ভয়ে এখন তিনি স্টেনোগ্রাফার এবং বিচারকের ওপর দোষারোপ করছেন।” বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাজনীতিতে কিছুটা আড়ালে থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায় কি এবার উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, তিনি রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যেতে চলেছেন! আর তাই আগেভাগেই বিচারক বদলের আবেদন জানাতে দেখা গেল তাকে! কিন্তু যে ব্যক্তি প্রায়শই “কোনো অন্যায় করেননি” বলে দাবি করেন, তিনি কেন হঠাৎ এই ভাবে পিছপা হলেন! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতেই শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে এখন শেষ পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এই আর্জি আদৌ মানা হয় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -