চা বাগানের আন্দোলন দানা বাঁধতে না দিয়ে, তৃণমূল নেত্রীকে বড় স্বস্তি ‘আস্থাভাজনের’ উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 1, 2018 পাহাড়ে বনধ-অবরোধের রাজনীতি যে বরদাস্ত করবেন না তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তিস্তা, তোর্সা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। বনধের জন্য নিহত হতে হয়েছে এক সৎ পুলিশ অফিসারকেও। সূত্রের খবর, জয়েন্ট ফোরামের ডাকে চা-বাগানের শ্রমিকদের এই ধরনায় সামিল দেখা হওয়ায় 2 জুলাই থেকে বন্ধ থাকবে উত্তরবঙ্গের সমস্ত চা বাগান। আর এতেই যখন শাসক তৃণমূলের মাথায় চিন্তার ভাজ তখন তাদের সেই চিন্তা দূর করে শনিবার মোর্চা জানিয়ে দিল যে, উত্তরবঙ্গের এই ধর্মঘটে তারা শামিল হবে না।রাজ্য সরকারকে স্বস্তি দিয়ে মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং শনিবার বলেন, “104 দিনের বন্ধের ফল হাতেনাতে পেয়েছে পাহাড়বাসী। তাই এখন থেকে পাহাড়ে এ আন্দোলন ধরনার সবই বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই করা যাবে আন্দোলন। জানা গেছে, পাহাড়ের মূল সংগঠন মোর্চা যখন সরকারের পাশে থেকে এই বন্ধের বিরোধিতা করছে তখন জিএনএলএফ, সিপিআইএম এর মথ নতুন ট্রেড ইউনিয়নগুলো পাহাড়ের এই ফোরামের আন্দোলনকে সমর্থন করতে শুরু করেছে। আর যার জন্য নতুন করে চিন্তা শুরু হয়েছে শাসক শিবিরেও। তবে কেন এই আন্দোলন? সে প্রসঙ্গে জিএনএলএফ সমর্থিত ইউনিয়নের সভাপতি জেবি তামাঙ বলেন, “শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আগামী 2 জুলাই থেকে উত্তরবঙ্গ জুড়ে চা বাগান ধর্মঘটে আমরা শামিল হব। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। সূত্রের খবর,2014 সালে এই দাবি রাখা হয়েছিল কিন্তু কোন বাগান মালিকই তা মানেনি। তাই এর প্রতিবাদে 2 তারিখ থেকে প্রতিটি চা বাগানের সামনে আধঘন্টা গেট মিটিং করে আগামী 6 এবং 7 তারিখ মশাল মিছিল করবে তারা। ও 7 ও 8 তারিখে সাইকেল ৱ্যালির আয়োজন করে 9 ও 10 তারিখে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে স্মারকলিপিও দেবেন তারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, জিএনএলএফ, সিপিআইএমের মত সংগঠনগুলো সরকারের বিরোধীতা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিমল গুরুং এর নেতৃত্বাধীন মোর্চা বর্তমানে বিনয় তামাং এর হাতে এসে সেই সরকারকে স্বস্তি দিয়ে পাহাড়ের এই বন্ধের বিরোধিতা করায় কিছুটা স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। আপনার মতামত জানান -