এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ষষ্ঠ দফার আগেই এবার রাজ্য সরকারের দিকে বড়সড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনলেন মুকুল রায়

ষষ্ঠ দফার আগেই এবার রাজ্য সরকারের দিকে বড়সড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনলেন মুকুল রায়


লোকসভা নির্বাচন যত শেষের দিকে এগোচ্ছে ততই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে কোনঠাসা করার প্রক্রিয়া জোরদার করছে এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের নাম জড়িয়েছে সারদা-রোজভ্যালি-প্রয়াগের মত চিটফান্ড কাণ্ডে। সেই চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূলের একাধিক প্রভাবশালী নেতাকে জেলও খাটতে হয়েছে।

এর উপরে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর থেকে ফাঁস করা হয় নারদ স্টিং অপারেশন। সেই নারদ কেলেঙ্কারিতে দেখা যায় রাজ্যের শাসকদলের একাধিক প্রভাবশালী নেতা তোয়ালেতে মুড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ‘ঘুষ’ নিচ্ছেন। এই অভিযোগ প্রাথমিকভাবে তৃণমূলের তরফে অস্বীকার করে ‘জাল ভিডিওর’ তত্ত্ব সামনে আনা হলেও, পরবর্তীকালে তা ‘পার্টি ফান্ডের চাঁদা’ হিসাবে মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু, এই তদন্তের অগ্রগতি শাসকদলকে বেশ বিব্রতই রেখেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রতিটা জনসভা থেকেই বিজেপি নেতারা নিয়ম করে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের দিকে তোলাবাজি ও সিন্ডিকেটরাজের জোরালো অভিযোগ ছুঁড়ে দিয়ে অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন। কিছুদিন আগে তো তৃণমূলের দলত্যাগী সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সরাসরি নাম করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোটি-কোটি টাকার কয়লা খাদান থেকে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরেক ভাইপো আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টেট কেলেঙ্কারিতে লক্ষ-লক্ষ টাকার তোলাবাজিওর অভিযোগ আনেন।

আর এবার রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় সামনে নিয়ে এলেন ‘বৃহত্তর বিদ্যুৎ কেলেঙ্কারি’। সাংবাদিক বৈঠকে যুবনেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা, রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার, শিশির বাজোরিয়াকে পাশে নিয়ে মুকুলবাবু প্রশ্ন তোলেন, আজ সারা দেশে সব থেকে বেশি পরিমাণ বিদ্যুতের মাসুল গুনতে হয় বাংলার গ্রাহকদের। আজ প্রতি ইউনিট প্রতি প্রায় সাত টাকা করে গুনতে হয়। গত ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে ১৭% দাম বৃদ্ধি করা হয়ছে। কিন্তু, আমরা জানতে চাই, কেন এই দাম বৃদ্ধি করা হল? এই দাম বৃদ্ধি করে বাংলার ৩২ লক্ষ গ্রাহকের কাছ থেকে অন্তত ১২ হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে।

মুকুলবাবুর আরও বক্তব্য, প্রতি গ্রাহক পিছু ৪০ হাজার করে লুটের টাকা কার কাছে গেল? কেন রেগুলেটরি অথরিটিকে অথর্ব করে দেওয়া হল? আপনারা যেমন সারদা-প্রয়াগের মতো চিটফান্ড কেলেঙ্কারি দেখেছিলেন, ঠিক তেমনই এটাও একটি বড় ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমরা জানতে চাই। কেন সারা দেশের মধ্যেই সব থেকে বেশি বিদ্যুতের দাম আমাদের গুনতে হবে? আমরা এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইছি। এর পাশাপাশি রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠিত হলে, বিদ্যুতের দাম কমানোরও আশ্বাস দেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!